
চকলেট খেতে ভালোবাসেন, কিন্তু ওজন বা সুস্থতার চিন্তায় সেটি এড়িয়ে যান? তাহলে আপনার জন্য আছে ভালো খবর! কারণ স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যেও ডার্ক চকলেট দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুধু স্বাদেই নয়, গুণেও সমৃদ্ধ এই মিষ্টি খাবারটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে মিলবে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। জেনে নিন কেন প্রতিদিন একটু ডার্ক চকলেট খাওয়া উচিত:
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্ল্যাভোনয়েড, বিশেষ করে ইপিক্যাটেচিন ও ক্যাটেচিনস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো দেহের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলকে প্রতিরোধ করে, যা কোষের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। চকলেটে যত বেশি কোকো থাকে, এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতাও তত বেশি।
২. জরুরি খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ
ডার্ক চকলেটে থাকে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, কপার ও ম্যাঙ্গানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। আয়রন রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে, ম্যাগনেশিয়াম হাড় ও স্নায়ু সুস্থ রাখে এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কপার ও ম্যাঙ্গানিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষা ও ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় কার্যকর
চকলেটের ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান রক্তচাপ কমাতে, হৃদযন্ত্রে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাঝারি মাত্রায় ডার্ক চকলেট গ্রহণ করলে রক্তনালির নমনীয়তা বাড়ে ও হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
৪. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক
ডার্ক চকলেট মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে নিউরোপ্লাস্টিসিটি উন্নত করে, যার ফলে স্মৃতি, মনোযোগ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা বাড়ে। এ ছাড়া চকলেটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো বয়সজনিত রোগ যেমন আলঝেইমার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখতে পারে।
৫. মন ভালো রাখে ও বুদ্ধি বাড়ায়
চকলেটে থাকা ফেনাইলইথাইলামিন (PEA) মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও এন্ডোরফিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মন ভালো রাখতে সহায়ক। পাশাপাশি এতে থাকা ক্যাফেইন ও থিওব্রোমিন হালকা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে, যার ফলে একাগ্রতা ও সচেতনতা বাড়ে।
তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে ডার্ক চকলেট রাখুন স্বাদেও তৃপ্তি, স্বাস্থ্যে উপকার।
মিমিয়া