
ছবি: সংগৃহীত
পিঠের ব্যথা—শুনলেই অনেকের মুখে বিরক্তি আর দীর্ঘশ্বাস। কিন্তু জানেন কি? এ সমস্যার কিছু অপ্রচলিত অথচ কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে, যা হয়তো আপনাকে চমকে দিতে পারে!
❖ আকুপাংচার:
চীনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি আকুপাংচার এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। সূক্ষ্ম সূঁচ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ দিয়ে ব্যথা কমানো হয়। অনেক রোগী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের ব্যথায় আশাতীত ফল মিলেছে।
❖ যোগব্যায়াম ও পাইলেটস:
নিয়মিত স্ট্রেচিং, ব্যালেন্স ও শ্বাসনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মেরুদণ্ডের স্থিতি উন্নত হয়। যোগাসন যেমন 'ভুজঙ্গাসন' বা 'সেটুবন্ধাসন' অনেক ক্ষেত্রেই ব্যথা লাঘবে সহায়ক।
❖ মনোচিকিৎসা (CBT):
বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও সত্যি, কিছু পিঠের ব্যথা মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকে বাড়ে। ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি’ মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে ব্যথা সহ্য করার শক্তি বাড়াতে পারে।
❖ একুপ্রেশার ও ম্যাসাজ থেরাপি:
শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ প্রয়োগ করে পেশি শিথিল করা হয়, রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং ব্যথা কমে।
❖ ইলেকট্রিক স্টিমুলেশন (TENS Therapy):
ছোট ছোট বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ব্যবহার করে স্নায়ুতে ব্যথার সংকেত পৌঁছানো আটকে দেওয়া হয়। এটি নিরাপদ ও ওষুধবিহীন একটি আধুনিক পদ্ধতি।
❖ খাদ্যাভ্যাস ও ওজন নিয়ন্ত্রণ:
ওজন বেশি হলে পিঠের ওপর চাপ পড়ে। তাই ব্যথা কমাতে খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার যেমন হলুদ, আদা, বাদাম, ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
❖ দাঁড়ানোর এবং বসার ভঙ্গিমা সংশোধন:
অতিরিক্ত সময় একভাবে বসে থাকা বা বাঁকা হয়ে কাজ করলে ব্যথা বাড়ে। নিয়মিত ব্রেক নিয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করা এবং সঠিক চেয়ারে বসা জরুরি।
👉 অনেকেই ব্যথা কমাতে শুধু ওষুধে ভরসা করেন, কিন্তু এই বিকল্প চিকিৎসাগুলো দীর্ঘমেয়াদে উপকার দিতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো চিকিৎসা শুরু করবেন না।
স্বাস্থ্য সচেতন থাকুন, ব্যথামুক্ত থাকুন!
আঁখি