
ছবি: সংগৃহীত
ত্বক পরিচর্যায় ক্লেনজারের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সানস্ক্রিন—এমনটাই মত ত্বক বিশেষজ্ঞদের। ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় সানস্ক্রিন, যা ত্বকের অকাল বার্ধক্য, ক্যান্সার এবং দাগপড়া থেকে রক্ষা করে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এই জনপ্রিয়তার পেছনে একাধিক নতুন ফরমুলেশনের হাত রয়েছে—যেমন হুইপড সানস্ক্রিন, স্প্রে সানস্ক্রিন এবং সবচেয়ে আলোচিত সানস্ক্রিন স্টিক।
কেন ভাইরাল সানস্ক্রিন স্টিক?
সানস্টিক বর্তমানে জে-বিউটি ও কে-বিউটি ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে ভারতীয় কসমেটিক লেবেলগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে। সহজে পকেট বা ব্যাগে রাখা যায়, প্রয়োগ করা যায় মেকআপের ওপর দিয়েও। তাই তরুণদের মাঝে এটি বেশ জনপ্রিয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টিকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গায় (যেমন নাক, কানের পেছনে, চিবুক) সহজে প্রয়োগ করা যায়, যা অনেক সময় লোশন বা ক্রিমে বাদ পড়ে যায়।
তবে সতর্কতাও আছে
➡️ পুরো মুখে কার্যকর সুরক্ষার জন্য স্টিক দিয়ে অন্তত চারবার মোটা করে প্রলেপ দিতে হয়—যা বাস্তবে করলে তৈলাক্ততা এবং ব্রণ বাড়তে পারে।
➡️ বেশিরভাগ সানস্টিক ওয়াক্স-বেসড হয় (যেমন বিইজওয়াক্স, প্যারাফিন), যেগুলো কমেডোজেনিক অর্থাৎ ত্বকের রন্ধ্র বন্ধ করে ব্রণ তৈরি করতে পারে।
➡️ অনেক সানস্টিকে SPF কম থাকে, যা যথেষ্ট সুরক্ষা দেয় না। তাই SPF ৩০ বা তার বেশি এবং PA+++ রেটিং আছে কি না, তা অবশ্যই দেখা জরুরি।
সুবিধা থাকলেও বিকল্প নয়
সানস্টিক একমাত্র সানস্ক্রিন হিসাবে না ব্যবহার করে, পুনঃপ্রয়োগের কাজে সহায়ক হিসাবে ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার আগে লোশন-ভিত্তিক সানস্ক্রিন লাগানো এবং দিনে কয়েকবার সানস্টিক দিয়ে রিফ্রেশ করলেই পাওয়া যায় পূর্ণ সুরক্ষা।
কী দেখে সানস্টিক কিনবেন?
✅ নন-কমেডোজেনিক ট্যাগ
✅ SPF ৩০–৫০
✅ UVA ও UVB ব্লকার
✅ জিংক অক্সাইড/টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড
✅ সুগন্ধি ও প্যারাবেন-মুক্ত ফর্মুলা
সানস্ক্রিন স্টিক সময় ও প্রয়োগের দিক থেকে অত্যন্ত সুবিধাজনক, তবে নিয়ম ও পরিমাণ জেনে ব্যবহারে সুফল পাওয়া সম্ভব। ত্বক সুরক্ষায় এটি হতে পারে আপনার দৈনন্দিন স্কিনকেয়ার রুটিনের ‘অন-দ্য-গো হিরো’।
আঁখি