
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এ ঘোষণা ঘিরে মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে তীব্র বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ইরান নীতি নিয়ে মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ডেমোক্রেট সদস্যদের মধ্যেও।
ডেমোক্রেটদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট সদস্য কানেকটিকাটের প্রতিনিধি জিম হাইমস সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি বজায় থাকে, তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।’ তবে তিনি এও স্বীকার করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং সংবিধানিক প্রক্রিয়া নিয়ে তার উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অবস্থা নিয়েও এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
ফ্লোরিডার ডেমোক্রেট প্রতিনিধি জ্যারেড মোস্কোভিৎজ বলেন, ‘যদি আপনি আমাকে বলেন, ইসরায়েল ইরানের সামরিক শক্তিকে দুর্বল করেছে, প্রেসিডেন্ট ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ১২ দিনের মধ্যে হ্রাস করেছেন, আর এই সময়ের মধ্যে ইরান কার্যকরভাবে পাল্টা জবাব দিতে পারেনি এবং কোনও আমেরিকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি— তাহলে এটি নিঃসন্দেহে দেশের জন্য এক বড় বিজয়।’
তবে নিউ ইয়র্কের ডেমোক্রেট প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে ‘একটি গুরুতর স্বীকারোক্তি’ হিসেবে আখ্যা দেন, যা প্রমাণ করে যে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই একপ্রকার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি ট্রাম্পকে অভিশংসনের দাবি তুলে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে কোনও আইনগত অনুমোদন ছাড়াই, যা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী।’
রিপাবলিকানদের জোরালো সমর্থন
উইসকনসিনের রিপাবলিকান প্রতিনিধি ডেরিক ভ্যান অর্ডেন ডেমোক্রেটদের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা প্রেসিডেন্ট ও আমেরিকার বিরুদ্ধে গিয়ে এক সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের পক্ষ নিয়েছে।’ তার দাবি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবিধানের ২ নম্বর অনুচ্ছেদের ক্ষমতার মধ্যেই থেকে কাজ করেছেন।
কিন্তু রিপাবলিকান শিবিরেও কিছু ভিন্ন মত রয়েছে। কেন্টাকির প্রতিনিধি থমাস ম্যাসি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এর পুরো কৃতিত্ব পাবেন কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ কাজটা এমনভাবে করাও যেত, যাতে কৃতিত্বের পাশাপাশি এটি সংবিধান সম্মতও হতো।’ উল্লেখ্য, ম্যাসি আগেও কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
সূত্র: সিএনএন।
রাকিব