ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘অস্বাভাবিক কার্যকলাপ’

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৬, ২৩ জুন ২০২৫

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘অস্বাভাবিক কার্যকলাপ’

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর আওতায় ইরানের ফরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পরমাণু স্থাপনাগুলোতে চালানো বিমান হামলার পর স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফরদোর পাহাড়ি এলাকায় ছয়টি স্পষ্ট গর্তের চিহ্ন ও ধূলি-বালিতে ঢাকা ভূমির পরিবর্তন। ধারণা করা হচ্ছে, এই গর্তগুলোই সেই স্থান, যেখানে ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা আঘাত করেছে।

সাবেক জাতিসংঘ পরমাণু পরিদর্শক ডেভিড অলব্রাইট বলেন, “তারা এই এমওপি (Massive Ordnance Penetrator) দিয়ে সত্যিই চেপে বসেছে। ফরদোর স্থাপনাটি সম্ভবত পুরোপুরি ধ্বংস।” তবে গবেষক ডেকার ইভলেথ জানিয়েছেন, স্থাপনাটি এতটাই গভীর যে স্যাটেলাইট চিত্রে ভেতরের সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি এখনই নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

হামলার আগে ফরদো সাইটে "অস্বাভাবিক কার্যকলাপ" দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ফরদোর প্রবেশপথে গাড়ির দীর্ঘ লাইন ছিল, যা ইঙ্গিত দেয়, সম্ভবত ইউরেনিয়াম ও পরমাণু যন্ত্রপাতি অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই হামলায় ইরানের পরমাণু কার্যক্রম কয়েক বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইরান এই হামলার পর পুরো কার্যক্রমকে ‘রাডারের নিচে’ চালাতে পারে—অর্থাৎ গোপন অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।

এদিকে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিকে সবসময় শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানি পার্লামেন্ট এনপিটি (Non-Proliferation Treaty) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে, যা হলে আন্তর্জাতিক পরমাণু পর্যবেক্ষণ থেকে ইরান পুরোপুরি মুক্ত হয়ে যাবে।

আইএইএ বলছে, নাতানজ ও ইসফাহানে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আলব্রাইট জানিয়েছেন, ইসফাহানে ইরানের একটি নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল যেখানে ২-৩ হাজার নতুন সেন্ট্রিফিউজ বসানোর কথা ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এই সেন্ট্রিফিউজগুলো কোথায়?

মুমু ২

×