ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের!

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ২৩ জুন ২০২৫

ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের!

ছবি: সংগৃহীত।

মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে। একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সাম্প্রতিক নানা ঘটনা ও রাজনৈতিক বার্তায় ইঙ্গিত মিলছে, এই হামলা শুধুমাত্র ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করতেই নয়—বরং ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে দেশটির শাসনব্যবস্থার পতন ঘটানোই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য।

গত কয়েক দশক ধরে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তাদের অভিযোগ—ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। যদিও ইরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তেহরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুই শান্তিপূর্ণ, বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে।

এবছরের ১৩ জুন, ইসরায়েল প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালায় তেহরানসহ ইরানের একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায়। এর পাল্টা জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলে। পরে সংঘাতে যুক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্র। অত্যাধুনিক B-2 স্পিরিট বোমারু বিমান ব্যবহার করে হামলা চালানো হয় ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায়।

পেন্টাগনের দাবি, এই অভিযানে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম কার্যত ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এখানেই থেমে থাকছে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন উঠেছে, এবার পেন্টাগনের লক্ষ্য ইরানের বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা—অর্থাৎ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা বদলানো।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশাল-এ এক পোস্টে লেখেন— “সরকার পরিবর্তন শব্দটা রাজনৈতিকভাবে সঠিক না হলেও যদি ইরানের সরকার ইরানকে আবার মহান করতে না পারে, তবে কেন তাদের পরিবর্তন হবে না?”

এই পোস্টকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, এটিই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্যের প্রথম স্বীকারোক্তি।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই বক্তব্যের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেক্সেদ বলেছেন, “এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল কেবল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করা, সরকার পতনের পরিকল্পনা আমাদের নেই।”

নুসরাত

×