ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

এই দুইটি রক্ত পরীক্ষায় ১ বছর আগেই বলে দেবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হবে কি না!

প্রকাশিত: ২১:০৩, ২৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ২১:০৫, ২৩ জুন ২০২৫

এই দুইটি রক্ত পরীক্ষায় ১ বছর আগেই বলে দেবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হবে কি না!

ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদ্‌রোগে মৃত্যুর ঘটনা হঠাৎ করে বাড়ছে। বয়স বাড়লেই হার্ট অ্যাটাক হবে—এই ধারণা এখন আর একেবারে ঠিক নয়। অনেক তরুণও পড়ছেন এই বিপদের মুখে। সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র আকস্মিক মৃত্যুই তার বড় প্রমাণ। অথচ সঠিক সময়ে জানা গেলে প্রতিরোধ করা যেত অনেক ক্ষতি।

ধারণা করা হয়, ইসিজি বা ইকোকার্ডিয়োগ্রামই হার্টের সমস্যা ধরা পড়ার মূল উপায়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, দু’টি রক্ত পরীক্ষা—হিমোসিস্টিন ব্লাড টেস্ট এবং সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি) টেস্ট আগাম হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারে, তাও প্রায় এক বছর আগেই!

১. হিমোসিস্টিন ব্লাড টেস্ট

হিমোসিস্টিন এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা শরীরে ভিটামিন বি৬, বি১২ এবং ফোলিক অ্যাসিডের ঘাটতিতে ক্ষতিকর মাত্রায় বাড়ে। এই অ্যাসিড ধমনীতে জমে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করে। ফলে ধীরে ধীরে হৃদ্‌রোগ বা হার্ট ব্লকেজের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

কারা করাবেন এই পরীক্ষা?

  • যাঁদের পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস রয়েছে

  • যাঁরা নিয়মিত অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খান

  • যারা ধূমপান বা মদ্যপানে অভ্যস্ত

  • যাঁদের অটোইমিউন বা স্নায়ুজনিত রোগ রয়েছে

২. সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি) টেস্ট

সিআরপি একটি প্রোটিন যা রক্তে প্রদাহ বেড়ে গেলে বাড়তে থাকে। হার্ট অ্যাটাকের আগাম ইঙ্গিত পেতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। সিআরপি ২ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকলে তা স্বাভাবিক, কিন্তু মাত্রা ১০-১৫ মিলিগ্রাম হয়ে গেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়ে।

এই টেস্টে হৃদ্‌রোগের সম্ভাবনা প্রায় তিন বছর আগেও ধরা যেতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সময়মতো এই পরীক্ষাগুলো করিয়ে রাখা যেতে পারে হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে একটি কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে। বাড়িতে কারও হৃদ্‌রোগের ইতিহাস থাকলে এই টেস্টে দেরি না করাই ভালো।

নিজের ও পরিবারের হৃদ্‌স্বাস্থ্য সম্পর্কে এখনই সচেতন হোন!

ইমরান

×