
ছবিঃ সংগৃহীত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. আসাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাদারীপুরের একটি চক্র তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছে। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ রেখে আসাদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মো. আসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা।
সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাতে আসাদের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, আসাদের বড় চাচার মৃত্যুতে তিনি সোমবার ভোরে বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
মাদারীপুরে বাস থেকে নেমে ঝিনাইদহগামী গাড়ির সন্ধানের সময় একটি মাইক্রোবাস তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে অপহরণ করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা (০১৫১৮-৪৯৫৬০৯) নম্বর থেকে আসাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, বিষয়টি পরিবারের মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক মাদারীপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন। এরপর প্রশাসনের তৎপরতার খবর পেয়ে অপহরণকারীরা মোবাইল ও মানিব্যাগ রেখে আসাদকে ছেড়ে দেয়।
আসাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাফিদ হাসান বলেন, আসাদের চাচা মারা যাওয়ায় আজ সোমবার ভোরে বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর মাদারীপুরের একটি চক্রের কবলে পড়ে আসাদ।
সোমবার দিবাগত রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনি বলেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদ বরিশাল থেকে ঝিনাইদহের বাড়িতে যাওয়ার পথে মাদারীপুরে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে। বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক মাদারীপুর জেলা পুলিশের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
প্রক্টর আরও বলেন, প্রশাসনের তৎপরতার খবর পেয়ে অপহরণকারীরা মোবাইল ও মানিব্যাগ রেখে আসাদকে ছেড়ে দিয়েছে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী নিরাপদে তার বাড়িতে পৌঁছেছে।
ইমরান