ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

আবারও বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২৩ জুন ২০২৫

আবারও বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

ছবি: সংগৃহীত।

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে ফের একবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে এবার সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন বাহিনী সম্প্রতি ইরানের তিনটি গোপন পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করেছে। এর জেরে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতেও।

সপ্তাহের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, আর সেই আতঙ্কেই মূল্যবৃদ্ধি।

এদিকে বিশ্বজ্বালানির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুট — হরমুজ প্রণালি বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। যদিও এখনো এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

হরমুজ প্রণালি হলো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন রুট। প্রতিদিন এখান দিয়ে প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ও তেলজাত পণ্য পরিবহন করা হয়, যা বিশ্বজুড়ে সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ। ইরান, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্রণালির ওপর কর্তৃত্ব রাখে।

বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মারাত্মক সংকট দেখা দিতে পারে এবং তেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।

মার্কিন হামলার জবাবে ইরানও চুপ করে বসে থাকেনি। সোমবার ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে ইরান ছোড়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র তাদের ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে এবং দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে।

এর আগে উত্তর ইসরাইলেও হামলার সতর্ক সংকেত পাওয়া যায়। ইরানের এই পাল্টা আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মধ্য ইসরাইল ও হাইফা শহর। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হাইফা শহরকে লক্ষ্য করে একাধিকবার আঘাত হেনেছে ইরান।

আল জাজিরার বরাত দিয়ে জানা গেছে, গত দশ দিনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণ এবং হরমুজ প্রণালি বন্ধের সম্ভাবনা জ্বালানিনির্ভর দেশগুলোর জন্য এক অশনিসংকেত। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সতর্কবার্তা দিচ্ছে, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দা বাড়তে পারে।

নুসরাত

×