
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান। অনেক সময় দেখা যায়, বাবুরা ঠিকমতো দাঁত গজাতে দেরি করছে, হাঁটতে বা বসতে চায় না, বা অস্বাভাবিকভাবে কাঁদছে—এসবই হতে পারে ক্যালসিয়াম স্বল্পতার লক্ষণ।
ডা. আহমেদ নাজমুল আনাম, সহকারী অধ্যাপক, ICMH, জানিয়েছেন, ‘‘একজন শিশুর দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না থাকলে হাড় ও দাঁতের গঠন ব্যাহত হতে পারে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে এটি রিকেটস বা হাড়ের দুর্বলতার মতো সমস্যার কারণ হতে পারে।’’
কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
-
শিশুর দাঁত উঠতে বিলম্ব
-
ঘন ঘন খিঁচুনি বা মাংসপেশির টান
-
অতিরিক্ত কান্না বা ঘুমের সমস্যা
-
বসা, হাঁটা বা চলাফেরায় দেরি
-
মাথার খুলি দেরিতে শক্ত হওয়া
করণীয়:
১. শিশুকে বুকের দুধ যথাসম্ভব দীর্ঘদিন দিন, কারণ মায়ের দুধে প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম থাকে।
২. ৬ মাসের পর থেকে শিশুর খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন—ডিমের কুসুম, দুধ, দই, ছানা, কলিজা ও মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন।
৩. প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দিন।
৪. শিশুকে প্রতিদিন কিছুটা সময় রোদে বসতে দিন, এতে ভিটামিন ডি তৈরি হবে, যা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
৫. নিজে কোনো ওষুধ শুরু না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, কারণ অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামও শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ডা. আহমেদ আরও বলেন, ‘‘শিশুর বিকাশে কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। ক্যালসিয়াম স্বল্পতা সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য, তবে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপই শিশুর সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে।’’
প্রতিদিনের ছোট ছোট লক্ষণগুলো নজরে রাখলেই আমরা আমাদের বাবুর জন্য দিতে পারি একটি সুস্থ, শক্তিশালী ভবিষ্যৎ।
Jahan