ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

হৃদরোগ থেকে ত্বকের যত্ন: হলুদের পানির ৬ বিস্ময়কর উপকারিতা

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ২৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৮:৩৬, ২৩ জুন ২০২৫

হৃদরোগ থেকে ত্বকের যত্ন: হলুদের পানির ৬ বিস্ময়কর উপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিন এক গ্লাস হলুদের পানি পান করলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে—এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় উপমহাদেশের একটি পুরনো ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত এই পানীয়টি বিশেষভাবে কার্যকর এর মূল উপাদান ‘কারকিউমিন’-এর জন্য, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক গুণে সমৃদ্ধ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত হলুদের পানি পান করলে হজমে সহায়তা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা উন্নয়ন, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ কমানো—এই ছয়টি উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।

হজমে সহায়তা করে

হলুদের পানিতে থাকা প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক উপাদান হজমতন্ত্রকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস, অস্বস্তি বা বদহজমের সমস্যা কমাতে পারে। পাশাপাশি এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করে, যা সুস্থ হজম প্রক্রিয়ার জন্য জরুরি।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

কারকিউমিন নামক উপাদানটি রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়। এটি দেহে ‘খারাপ কোলেস্টেরল’ (LDL) কমাতে এবং ‘ভালো কোলেস্টেরল’ (HDL) বাড়াতে সহায়ক। ফলে রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকে এবং হৃদযন্ত্র ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে, অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি কমায়

জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার (NIH) তথ্য অনুযায়ী, হলুদে থাকা কারকিউমিন মস্তিষ্কে প্রোটিন ক্লাস্টার জমা হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে, যা অ্যালঝাইমার রোগের একটি বড় কারণ। নিয়মিত হলুদের পানি পান করলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি ও মনোভাব উন্নত হয় এবং একাগ্রতা বাড়ে।

দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ কমায়

আর্থ্রাইটিস, অ্যালার্জি কিংবা অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগে হলুদের পানি প্রাকৃতিক প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি গাঁটে ব্যথা, ফোলা বা প্রদাহজনিত নানা উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে এবং সামগ্রিকভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা জোরদার করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়

হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক গুণ ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা ও নির্জীব ভাব কমায়। ত্বকের লালভাব, জ্বালা বা ব্রণের প্রবণতাও কমায়। পাশাপাশি, এটি ক্ষত সারে এবং দাগ হালকা করে ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

হলুদের পানি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এতে থাকা কারকিউমিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখে, ফলে বারবার অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা কমে।

পরামর্শ

হলুদের পানি যতই উপকারী হোক, তা অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করাই ভালো। এই প্রতিবেদনটি ইন্টারনেটভিত্তিক সাধারণ তথ্যের ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

রাকিব

×