
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের নেতৃত্বে একাধিক সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে বিগত কয়েক মাসে। সবশেষ, রোববার (২৩ জুন), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামের এক গোপন অভিযানে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র (ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান) লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
এটি ছিল ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক বিমান অভিযান, যেখানে ১২৫টিরও বেশি বিমান এবং সাবমেরিন থেকে ছোড়া টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। GBU-57 বাঙ্কার-বাস্টার বোমা প্রথমবারের মতো সরাসরি ব্যবহৃত হয় গভীর ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে।
বড় বড় সামরিক অভিযানের তালিকায় যেগুলো এখন শীর্ষে:
অপারেশন রাইজিং লায়ন (ইসরায়েল) – ১৩ জুন ২০২৫
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে “অস্তিত্বের হুমকি” বলে দাবি করে এই অভিযান চালায় ইসরায়েল। মিসাইল কারখানা, কমান্ড সেন্টার ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে একাধিক আঘাত হানে।
অপারেশন আয়রন ওয়াল (ইসরায়েল) – ২১ জানুয়ারি ২০২৫
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বড় আকারে সামরিক অভিযান। প্রথমে জেনিন থেকে শুরু হয়ে টুলকার্মসহ অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
অপারেশন ডেইজ অফ রিপেন্ট্যান্স (ইসরায়েল) – ২৬ অক্টোবর ২০২৪
ইরানের মিসাইল হামলার প্রতিশোধ নিতে চালানো হয় এই সামরিক আঘাত, যেখানে ইরানের একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু ছিল।
অপারেশন ট্রু প্রমিস (ইরান) – এপ্রিল ২০২৪ থেকে
ইসরায়েলি হামলায় দামেস্কের ইরানি দূতাবাস ধ্বংস হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইরান চালায় এই বিশাল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ। এরই মধ্যে এটি তৃতীয় ধাপে পৌঁছেছে, যার নাম True Promise-3।
অপারেশন পোসাইডন আর্চার (যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য) – জানুয়ারি ২০২৪
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিলে এই অভিযান পরিচালনা করে। লক্ষ্য ছিল লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল রক্ষা করা।
মুমু ২