
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এমনকি রিপাবলিকান দলের অভ্যন্তরেও দেখা গেছে দ্বিধা—এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ও সাবেক সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী লরেন্স জে. কর্ব।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্ব বলেন, ‘ট্রাম্প যেটা বলেন আর যেটা করেন—এই দুইয়ের ব্যবধান নিয়েই মানুষ বিরক্ত। তিনি বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার সুযোগ দিতে চান দুই সপ্তাহ। অথচ মাত্র দুদিন পরই হামলা চালালেন।’
কর্ব আরও বলেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে ইরান এখন সরাসরি আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
‘এই প্ররোচনার কারণে ইরান যদি মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে, তা হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে,’ বলেন তিনি।
তবে সবকিছু সত্ত্বেও রিপাবলিকান নেতারা মূলত ট্রাম্পকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
‘অনেকেই তার সঙ্গে একমত না হলেও তাকে সমর্থন করছেন, কারণ তিনিই দলের প্রেসিডেন্ট এবং সামনে নির্বাচন,’ বলেন কর্ব।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে একদিকে ইরান সরকারের পতন চাওয়ার ইঙ্গিত, অন্যদিকে বাস্তবতা বিবেচনায় পিছু হটার সুর—এই দ্বৈত নীতির কথাও উল্লেখ করেছেন কর্ব।
‘ট্রাম্প মূলত দুই দিকই রাখতে চাইছেন। তিনি ইরানে হামলা করলেন, এখন আবার এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করছেন। আবার বলছেন, আরও কিছু করবেন—কিন্তু কীভাবে করবেন তা স্পষ্ট নয়। তার উপদেষ্টারা অবশ্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করাকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। কিন্তু ট্রাম্প এখন থামতে রাজি নন। তিনি মনে করছেন, এখনো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।’
সূত্র: আল জাজিরা।
রাকিব