
চুয়াডাঙ্গায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক তরুণের ১০ বছর কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর শিশু সুমাইয়া আক্তার (৭) ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মোমিনুল ইসলাম(১৭) নামে এক তরুণকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বেলা ১টায় চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সকালে শিশু সুমাইয়া দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। ওইদিন রাত ৯ টার দিকে একই গ্রামের আয়ুব আলীর শিম ক্ষেতের মাচার নীচে সুমাইয়ার মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ এবং লাশের পাশে পড়ে থাকা আলামতের সূত্র ধরে মোমিনুলকে আটক করে। সে একই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা নাছিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোমিনুলকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান মোমিনুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,‘' শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামীর বয়স কম হওয়ায় দেশের প্রচলিত আইনে তাকে ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।’'
তবে, মামলার বাদী নাছিরুল ইসলাম রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, '‘আমরা প্রত্যাশিত রায় পায়নি, এজন্য উচ্চ আদালতে যাব।’'
তাসমিম