
ছবিঃ সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়াতে দাঁড়িয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রগতি সংঘ ক্লাব । ঠাকুরগাঁও প্রগতি সংঘ ৬৪ বছর আগে ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবটিই ফুটবল ক্লাব। ঠাকুরগাঁও ইতিহাসে ফুটবল ক্লাব বললে প্রগতি সংঘ, রুহিয়া ক্লাবের নামই উঠে আসে।
তবে ইতিহাস বলছে, পূর্ব পাকিস্তান আমলে সময় ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রগতি সংঘ ক্লাব পরবর্তীকালে ১৯৬১ সালে প্রগতি সংঘ,রুহিয়া ক্লাব নামে আত্মপ্রকাশ করে।
ঠাকুরগাঁও ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস বলতে বেশির ভাগ অংশইজুড়ে রয়েছে ফুটবলের ইতিহাস।১৯৪০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করে টাউন ক্লাব, যার জন্ম ১৯১১ সালে কয়েকজন তরুণেরসমন্বয়ে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ফুটবল দলখেলতে যায় ভারতে। সৌহার্দের নিদর্শন স্বরূপ ফুটবল দলটি খেলতে যায় সে দেশেরক্রীড়া সংস্থার আমন্ত্রণে। ঠাকুরগাঁও একাদশ নামে দলটি ভারতের কুচবিহার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও ইসলামপুরে ফুটবল খেলে প্রগতি সংঘের এর অনেক খেলোয়াড় ভারতের মাঠে ফুটবল খেলেছে।
সাফল্যখরায় ভুগতে থাকা ঢাকা মোহামেডানের মতোই ঠাকুরগাঁও প্রগতি সংঘ ক্লাবটি। ফুটবল, ক্রিকেট ও ভলিবলতে একসময় ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর,পঞ্চগড় লিগে দাপট ছিল তাদের। ক্লাব কর্মকতাদের দাবি, স্থানীয় ফুটবলে লিগ জয়ের রেকর্ডও তাদের। কিন্তু কাগজে-কলমে কোনো তথ্যই নেই।ফুটবল এবং ভলিবলে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর ফুটবল, ক্রিকেট ও ভলিবল খেলার পাশাপাশি বিভাগ চ্যাম্পিয়ন রয়েছে এই ক্লাব। ১৯৮০-৯৫ সালে জেলা ফুটবলে অভিষেক অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এ ক্লাবটি।
ক্লাবের কার্যালয়ের দেয়ালে টাঙানো ছবিগুলোই বলে দেয় ইদানীং কোনো সাফল্য নেই। দেয়ালে ঝুলছে ১৯৭৮ও ১৯৮৯ সালের উত্তরবঙ্গের ফুটবল খেলার লিগের অনেক চ্যাম্পিয়ন দলের ট্রফি । সেখানে সর্বোচ্চ পুরনো ট্রফির মধ্যে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০, ১৯৮৭, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৮ সালে অনেক ট্রফি রয়েছে। বর্তমান তরুণদের খেলোয়ারদের অনেক ট্রফির সংগ্রহ রয়েছে ক্লাবে। এছাড়া ভলিবল ক্রিকেট অন্যান্য খেলা জাতীয় ট্রফি রয়েছে এই ক্লাবের।
ঠাকুরগাঁও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা স্বাধীনতার পূর্ব থেকে অর্থাৎ পাকিস্তান আমল থেকে খেলাধুলা আয়োজনের ব্যাপারে বেশ তৎপর ছিল। যতদূর জানা যায়, পাকিস্তান আমলে ঠাকুরগাঁও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা স্বনামধন্য ক্লাবের ছিল প্রগতি সংঘ, রুহিয়া যাব বর্তমান কালের সাক্ষী।
আলীম