
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালনায় শুরু হয়েছে নারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। মা ফাতেমা (রা.) নারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গ্রামীণ অবহেলিত নারীরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষে চাকুরী পাচ্ছেন, ফলে নারীদেরও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ রাইস কুকার মেরামত, এখানে কেউ শিখছেন হাউজ ওয়ারিং, আবার কেউবা নতুন জামাকাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর নারীরাও প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকুরিরত রয়েছেন। এখানে থাকা খাওয়ার সুবিধার পাশাপাশি এখানে নারীরা প্রশিক্ষণ শেষে ভাতাও দেয়া হয়।
বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর নারীসহ অবহেলিত নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে গত ২০০০ সালে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় মা ফাতেমা (রা.) নারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। পরে এটি ২০০৬ সালে রাজস্ব খাতের অন্তর্ভুক্ত হয়। শুরুতে সিএনজিচালিত থ্রি হুইলার ড্রাইভিং এবং মোটরসাইকেল মেকানিক্স প্রশিক্ষণ কোর্স চালু ছিল। বর্তমানে এখানে ইলেকট্রনিক, টেইলারিং ও ড্রেস মেকিং এবং ইলেকট্রিক কোর্সে সর্বমোট ৬০ জন নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। ৬০ জনের মধ্যে ২০ জনের বেশি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারীও রয়েছেন। ৩ মাসের প্রশিক্ষণে এখানে নারীরা বিনামূল্যে তিনবেলা থাকা খাওয়ার পাশাপাশি ভাতাও পাচ্ছেন। এখানে নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে ইউসেফ বাংলাদেশের সাথে চুক্তি সাপেক্ষে চাকুরী পাচ্ছেন। গত ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এখানে ১২৭২ জন গ্রামীণ অবহেলিত নারীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে এক হাজারের বেশি নারী দেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকুরিরত রয়েছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার লায়লা পারভীন নাহার জানান, এটি সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ডিডব্লিউএ-ইউসেফ পার্টনারশিপ প্রজেক্ট। গ্রামীণ অবহেলিত নারীরা এখানে প্রশিক্ষণ শেষে চাকুরী পাচ্ছেন। এতে অনেক অবহেলিত নারীরা এখানে প্রশিক্ষণ শেষে চাকুরী পাচ্ছেন।
Jahan