
ছবি: সংগৃহীত
যখন মধ্যরাত পেরিয়ে ভোর ঘনিয়ে আসছিল, তখন আকাশপথে এগিয়ে আসছিল এক নিঃশব্দ বিস্ফোরণের ঝড়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে এক জটিল, নিখুঁত ও উচ্চমাত্রার সামরিক অভিযান।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, এই অভিযানে অংশ নেয় ১২৫টিরও বেশি যুদ্ধবিমান। বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ছোড়া হয় ফোর্ডো ও নাটানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে, এবং টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে ইসফাহান শহরের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে।
ইরানের সময় অনুযায়ী রুদ্ধশ্বাস অপারেশনের ধাপসমূহ:
শনিবার, সকাল ৩:৩১ (IRST)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির হুইটম্যান এয়ার ফোর্স ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে সাতটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান।
টার্গেট: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা।
শনিবার, রাত ১:৩০ (IRST)
বোমারু বিমানগুলো আকাশে যুক্ত হয় মার্কিন ফাইটার জেটের সঙ্গে।
শনিবার, রাত ২:৩০ (IRST)
যুদ্ধবিমানগুলোর বহর ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।
শনিবার, রাত ৩:১০ – ৩:৩০ (IRST)
তিনটি স্থাপনায় একযোগে হামলা: ফোর্ডো, নাটানজ এবং ইসফাহান।
বোমার আঘাতে কেঁপে ওঠে ইরানের মাটি।
শনিবার, রাত ৪টা (IRST)
মিশন সফলভাবে শেষ করে বিমানগুলো ইরান ত্যাগ করে। রোববার ভোরে ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই অভিযান?
এই অভিযানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র শুধু সামরিক সক্ষমতা নয়, বরং কূটনৈতিক বার্তাও দিল—ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে দেওয়া হবে না। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের হস্তক্ষেপ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে।
Mily