
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো সোমবার সরাসরি সতর্ক করে বলেছেন, যদি ভারত ইন্দাস জল চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের অংশের জল সরবরাহ থেকে বিরত থাকে, তাহলে তাদের অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না, তারা আবারও যুদ্ধের পথে যাত্রা করবে।
সংসদে ভাষণকালে বিলাওয়াল বলেন, “ভারতের সামনে দুই পথ: একটি হলো ন্যায্যভাবে জল ভাগাভাগি করা, অন্যটি হলো আমরা আমাদের পাওয়ার জল সংগ্রহ করব ছয়টি নদী থেকে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ইন্দাস নদীকে লক্ষ্য করে ভারতের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অবৈধ। ইন্দাস জল চুক্তি কোনোভাবেই স্থগিত নয়, এটি দুই দেশের জন্য বাধ্যতামূলক। জলের সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি জাতিসংঘের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধ।”
এই উত্তেজনাপূর্ণ মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন ভারতের গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ১৯৬০ সালের জলবণ্টন চুক্তি আর কখনো পুনরায় চালু হবে না। ভারত এই চুক্তি আপাতত স্থগিত রেখেছে ২২ এপ্রিলের পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, যেটিতে ২৬ জন নিহত হন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই ভারতের এই ঘোষণাকে “আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের ঘোর নিন্দা” বলে আখ্যায়িত করেছে।
তবে বিলাওয়াল যুদ্ধের হুমকি দিলেও সংলাপের দরজা পুরোপুরি বন্ধ করেননি। তিনি বলেন, “যদি দুই দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমন্বয় না করে এবং কথা না বলে, তাহলে সংঘাত ও সহিংসতা আরও বেড়ে যাবে।” তিনি ভারতকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবাদের ব্যবহারকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করে বলেন, “ভারত কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সুনাম ক্ষুণ্ন করতে নানা অপপ্রচার চালিয়েছে। পাকিস্তান যখন FATF এর গ্রে লিস্ট থেকে মুক্তি পাচ্ছিল, তখন ভারত মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সেটাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে।”
বিশ্বমঞ্চেও কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরার প্রেক্ষাপটে বিলাওয়াল বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিকভাবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি তুলে ধরতে সফল হয়েছি। এমনকি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর বিষয়ক মধ্যস্থতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।”
তথ্যসূত্র: India Today
Mily