ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

ঢাকার দনিরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২৩ জুন ২০২৫

ঢাকার দনিরাত

ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া-করোনা এ তিনটি রোগ অধুনা ভয় দেখাচ্ছে

এ কলামের বিষয় দেশের রাজধানী। তাই ভৌগোলিক সীমারেখা লঙ্ঘনের সুযোগ নেই। কিন্তু ঢাকাবাসীর মনোজগতে রবিবার কী চলছে তার খোঁজ নিতে গেলে আমরা স্বাভাবিক অনুমানের প্রেক্ষিতে কিছু কথা বলতেই পারি। ঢাকায় করোনা-ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া শঙ্কা তৈরি করছে। এর বাইরে ইরান-ইসরাইল সংঘাতে নতুন করে আমেরিকার ঘি ঢেলে দেওয়ায় মানুষের মনে নতুন দুশ্চিন্তা জাগারই কথা।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যারা যুদ্ধবিরোধী বলে ভাবতেন তারা ধাক্কা খেলেন আমেরিকা থেকে ৩৭ ঘণ্টা উড়ে এসে ইরানে বি-২ বোমারু বিমান আঘাত হানায়। অনেকেরই ইরাক-আমেরিকা যুদ্ধের কথা মনে পড়ে যাবে। বাইশ বছর আগে ইরাক আক্রমণের আগে দেশটির হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার ধারণা এবং সেই অস্ত্র মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি হতে পারে- এমন বয়ান তৈরি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে। এবারও একেবারেই বিনা উসকানিতে ইরান আক্রমণের পর ‘একই অজুহাতে’ ইসরাইলের ‘দোসর’ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এ সংঘাতে জড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় বিশ্ব আরেকটি সার্বিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে কিনা।

ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া করোনা

আমার এক বন্ধু করোনাকালে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছিলেন। করোনার নতুন ধরনের প্রকোপের আশঙ্কায় তিনি নিউমোনিয়ার টিকা নিলেন। একইসঙ্গে আমাকেও টিকা নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। আপাতত নেব না বলে বন্ধুকে জানিয়ে দিয়েছি। ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া-করোনা এ তিনটি রোগে একাধিকবার ভুগলেও কখনো নিউমোনিয়ার শিকার হইনি। সাবধানের মার নেই। তবু শুধু সন্দেহবশত আগাম টিকা নিতে ইচ্ছে করল না। এসব বলার মানে হচ্ছে, ঢাকার সচেতন মানুষ ওই তিনটি রোগকে নতুন করে গোনায় ধরতে শুরু করেছেন।

খবরে প্রকাশ, গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ৩৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৩ জনের দেহে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত সবাই ঢাকার বাসিন্দা। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আহমেদ নওশের আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। আইইডিসিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সালে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম চিকুনগুনিয়া রোগী শনাক্ত হয়। ২০১১ সালে ঢাকার দোহারে কিছু রোগী পাওয়া যায়। ডেঙ্গুর মতোই চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশা।

এর বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ থাকায় রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রভাব পড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন গবেষকরা। তবে বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি। সরকারি পর্যায়ে শুধু ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও আইইডিসিআরে পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। সারাদেশে পরীক্ষা বন্ধ আছে প্রায় আট বছর।

তবে এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার আইইডিসিআর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ডেঙ্গু রোগের বাহক কীটতাত্ত্বিক জরিপ ২০২৪-২০২৫ অবহিতকরণ’ সভায় পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, একটা পরীক্ষার মাধ্যমেই ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জিকা শনাক্ত করা যায়। আলাদা পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। তিনি আরও বলেন, এবার চিকুনগুনিয়া নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হচ্ছে ৪৫ শতাংশ। তবে কারও মৃত্যু হয়নি। 
২০২৪ সালের শেষভাগে সংক্রামক রোগবিষয়ক গবেষণার জন্য পরিচিত ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইনফেকশাস ডিজিজেস রিজিওন্স’ (আইজেআইডি রিজিওন্স) জার্নালে ‘দ্য রিঅ্যাপিয়ারেন্স অব চিকুনগুনিয়া ইন বাংলাদেশ, ২০২৪’ শিরোনামে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, এডিস মশাবাহিত চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব ২০২৫-২৬ সালে বাড়তে পারে। আইইডিসিআর, যুক্তরাজ্যের কিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ নিয়ে গবেষণা করছেন। 
করোনা এখনো মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। তবে ডেঙ্গু ইতোমধ্যে বড় ধরনের দুশ্চিন্তা জাগাচ্ছে। ঢাকাবাসী জানেন বিগত এক বছরে মশা মারায় দুই সিটি করপোরেশন যথোচিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। মেয়রদের অনুপস্থিতির পর সরকারি উদ্যোগে ঢাকার নাগরিক সেবাদানের চেষ্টা নেওয়া হয়েছে। তবে সে সবই অপ্রতুল। ডেঙ্গু থেকে চিকুনগুনিয়া বেশি খারাপ। দুটোকে বিষধর সাপ হিসেবে যদি দেখতে চাই তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যাবে একটি সাপ এতই বেয়াদব যে তার দংশনে মাসের পর মাস ভোগান্তিতে থাকতে হয়। তাই নিজের বাসা ও অফিসের মশা নিজেদেরই মারতে হবে। এবং একইসঙ্গে করোনাকালের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এশা মার্ডার : কর্মফল 
নারী পীড়ন, নারী পুলিশ

এবার ঈদুল আজহায় আধা ডজন নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এবং সবকটিই ভালো ব্যবসা করছে বলে জানতে পেরেছি। আমার এক বন্ধু এশা মার্ডার এবং উৎসব, এ দুটি ছবি দেখবেন বলে মনস্থির করলেন। আমাকে তিনি আমন্ত্রণ জানালেন টিকেট বুকিং দিয়ে। স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে বছরে এক-দুইটা সিনেমা যে দেখা হয় না, তা নয়। তবে এমন ঘটা করে আমন্ত্রণ পেয়ে ভালোই লাগল। একদিন অফিসশেষে সন্ধ্যায় ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ ছবিটি দেখাও হয়ে গেল। এককথায় প্রশংসনীয় ও উপভোগ্য সিনেমা। কিছু দুর্বলতা ও ত্রুটি বিদ্যমান, সেসব উল্লেখ করছি না।

 মাঝেমধ্যে টিভি নাটকের মতো মনে হলেও থ্রিলার বা গোয়েন্দা গল্পের প্লটের কারণে ছবিটি দর্শকদের শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। দুবছর আগে ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে নারীর বিষয় ও নারীচরিত্র প্রধান সিরিয়ালের হিড়িক পড়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ছিল সিনেমা দেখতে দেখতে। সমাজে নারীরা নানাভাবে নিপীড়িত (যৌন নিপীড়নসহ) হচ্ছে পুরুষের দ্বারা, ভয়ংকর অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আবার নারীরা রুখেও দাঁড়াচ্ছে। নারীর ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে নারীই। সিনেমায় নারীকে শক্তিমান রূপে দেখানোর এই প্রবণতা ভালো লাগার মতো। সিনেমায় এশার প্রতি আকৃষ্ট হয় একাধিক পুরুষ, মূলত তাদের সেই আকর্ষণের নেপথ্যে দেহভোগই প্রধান বিবেচ্য।

এশা সংগ্রামী নারী, নার্সিং-শিক্ষার্থী। প্রেমে সে প্রতারণার শিকার হয়। শেষ পর্যন্ত বিশ্রিভাবে তাকে হত্যা করা হয়। এই হত্যারহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব পড়ে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার ওপর, যিনি শৈশবে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। যাহোক, অনেক নাটকীয়তা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ঘাতককে পাকড়াও করা হয়। তবে বলতেই হবে, সিনেমায় নারী পুলিশকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে পুরুষ বসের ক্ষেত্রে। এখানেও নিঃসন্দেহে পুরুষের আধিপত্যবাদী মানসিকতাই কাজ করেছে। 
নারীর ওপর যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি এই সিনেমা নারীর সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের, এবং নারীকে পুরুষতন্ত্রের দাবিয়ে রাখারও দৃষ্টান্ত। সেইসঙ্গে নারীকে মানবিক চোখে না দেখে ভোগীর দৃষ্টিতে দেখার সামজবাস্তবতার উদাহরণ। তাই এ ছবি দর্শক পাক, ব্যবসাসফল হোক, এমনটা চাইব। তাহলে হয়তো আমরা ভবিষ্যতে পরিচালকের কাছ থেকে নারীর সপক্ষে এবং নারীর জেগে ওঠার আরও উন্নত ও উপভোগ্য চলচ্চিত্র পাব। 
সে-রাতে শো শেষে ফটক পেরুতেই দেখি স্বয়ং নারী পুলিশ অফিসার, মানে আজমেরী হক বাঁধন দাঁড়িয়ে। তিনি পরিচিত এক নারী-দর্শককে অনুরোধ করলেন সিনেমার একটা রিভিউ দিতে। রিভিউটি ক্যামেরায় ধারণ করলেন এশা মার্ডারের ‘মার্ডারার’, মানে খল চরিত্রে রূপদানকারী সৈয়দ এজাজ আহমেদ। এই যে টিমওয়ার্ক, দর্শক প্রতিক্রিয়া জেনে নেয়ার, ভাল লাগলো। বোঝা যাচ্ছে এরা চলচ্চিত্রে নিবেদিত, অঙ্গীকারবদ্ধ ও সিরিয়াস। শুভকামনা জানাই।
ক্স শপথ না নিয়েই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মতো ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ বা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এই বিএনপি নেতা নগর ভবনের মিলনায়তন ও অফিস দখল করে নাগরিক সেবাদানে বাধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
ক্স ইরান ও ইসরাইল চলমান যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। যদিও প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ফলমেলায় ফলের নান্দনিক প্রদর্শনী
তিন দিনব্যাপী এবারের ফলমেলায় অংশ নিয়েছে ৮টি সরকারি ও ৫৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। মেলায় ৬৩টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফলচাষ প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়। মেলায় দর্শনার্থীরা ফলচাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনেছেন। এ ধরনের ফলমেলা বেশ ফলদায়ক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট ফল উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৩৩ হাজার টন।

একসময় দেশে কাঁঠাল ও আম ছিল প্রধান ফল। এখন অন্তত ২২ প্রজাতির ফল বাংলাদেশের মানুষ নিয়মিত খাচ্ছে। বার্ষিক কাঁঠাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। আম উৎপাদনে সপ্তম। পেয়ারা উৎপাদনেও সপ্তম। এখন জাম, বরই, কামরাঙা, কতবেল, লেবু, আনারস, লটকন, আতা, সফেদার মতো স্থানীয় ফলের পাশাপাশি স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফ্রুট, মাল্টা, রামবুটান ইত্যাদি বিদেশি ফলের চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে।
আমরা জানি খাদ্য ও পুষ্টির অন্যতম উৎস ফল। মানবদেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ, মেধার বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। পুষ্টিবিদদের মতে, দৈনিক মাথাপিছু ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত। তবে বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ফল উৎপাদন হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় মাত্র ৪০ শতাংশ। প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ণের ফলে কৃষিজমি কমে আসছে। উন্নত বীজ, সেচ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাঠ ফসলের উৎপাদন বেড়ে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও উদ্যান ফসলের বিশেষ করে ফলের উৎপাদন এখনো কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছেনি। কিন্তু দেশে যে ফলগুলো উৎপাদন হয় তার প্রায় ৬০ শতাংশ পাওয়া যায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর- এ চার মাসে। শীত মৌসুমে ফল প্রাপ্তির সুবিধা কম।

বছরব্যাপী ফল উৎপাদনে দেশের বিদ্যমান সুবিধাগুলোকে এখনো তেমন কাজে লাগানো হয়নি। বিশেষ করে পার্বত্য ও উপকূলীয় জেলাগুলোতে ফল উৎপাদনে যে সুযোগ রয়েছে তা অনেকটা অব্যবহৃত রয়ে গেছে, যা এ প্রকল্পের মাধ্যমে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়। বছরব্যাপী ফলপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে মানসম্মত চারা, কলম উৎপাদন, নতুন নতুন ফলের জাত সম্প্রসারণ এবং আধুনিক উদ্যান প্রযুক্তি বিষয়ে চাষিদের দক্ষ করে তোলার জন্য প্রকল্পের আওতায় নতুন হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া প্রয়োজন।
৬০ জাতের আম ছিল মেলায়। এর মধ্যে ব্রুনাই কিং, চিয়াংমাই, কিং অব চাকাপাত, বারি-১ (মহানন্দা), বারি-২, বারি-৩ (আ¤্রপালি), বারি-৪ (হাইব্রিড আম), বারি-৫, বারি-৬, বারি-৭, বারি-৮ বারি-৯ (কাঁচা মিঠা), বারি-১০, বারি-১১, বারি-১২ আম ই-টু আর-টু আম, ব্যানানা ম্যাংগো, সূর্যমুখী আম, পোকাড়ি আম, কাঠিমন আম, মিয়াজাকি, হানিভিউ আম, হিমসাগর, আ¤্রপালি, কালিভোগ, রানি পছন্দ, ল্যাংড়া, গোবিন্দভোগ, হাঁড়িভাঙাসহ অন্যান্য জাতের আম।

এ ছাড়া রুটি ফল, চাপালিশ,  তৈকর, আঁশফল, পিচফল, চিত্র ডিসি আনারস, স্ট্রবেরি পেয়ারা, খুদি জাম, চেরি, তারকা ফল, জাবাটিকা, ডেফল, আদা জামির, আলু বোখারা, বিলাতি গাব, শান্ডোল,  গোলপাতা ফল, প্যাশন ফ্রুট,  পাম্প ফল, যজ্ঞ ডুমুর, বিলিম্বি, সাতকড়া এবং জারা লেবুসহ অনেক নাম জানা-অজানা অনেক দুর্লভ ফল প্রদর্শিত হয়েছে।

২২ জুন ২০২৫ 
[email protected]

×