
সংগৃহীত
বিয়ে একটি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আয়োজন ঘিরে থাকে বহু স্বপ্ন, আবেগ ও প্রত্যাশা। তবে আজকের দিনে বিয়ের খরচ সামলানো অনেকের জন্যই হয়ে উঠছে বড় চ্যালেঞ্জ। অনুষ্ঠানস্থল, পোশাক, গয়না, কেটারিং, সাজসজ্জা কিংবা হানিমুন সব মিলিয়ে খরচের অঙ্কটা অনেক বড়।
অনেক সময় পরিবার বা বর-কনে নিজেরা এই খরচ একসাথে সামাল দিতে পারছেন না। ঠিক এই জায়গাতেই এখন সহায়তা দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক।
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। এখন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ব্যাংক বিয়ের খরচ মেটাতে 'পার্সোনাল লোন' বা বিয়ের বিশেষ ঋণ অফার করছে। কেউ যদি স্বাবলম্বী হন, চাকরি করেন কিংবা কোনো নিয়মিত আয়ের উৎস থাকে, তাহলে এই লোন পাওয়া কঠিন কিছু নয়।
মাত্র কয়েকটি কাগজপত্র জমা দিয়ে এবং কিছু প্রাথমিক শর্ত পূরণ করলেই মিলতে পারে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ। এই টাকায় আপনি আয়োজন করতে পারবেন স্বপ্নের মতো একটি বিয়ে কোনো চাপ ছাড়াই।
যারা নতুন সংসার শুরু করছেন, তাদের জন্যও এই লোন হতে পারে একটি ভালো সমাধান। কারণ বিয়ের খরচ শেষ হওয়ার পরপরই ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক্স, বাসস্থান সাজানোতেও অর্থের প্রয়োজন পড়ে। ব্যাংকগুলো মাসিক সহজ কিস্তিতে লোন পরিশোধের সুযোগ দিচ্ছে, যাতে আপনার বাজেট ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় কোনো বাঁধা না পড়ে।
ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এমন ঋণের জন্য আবেদন জমা পড়ছে ব্যাপক হারে। কেউ কেউ এই সুযোগ নিচ্ছেন শুধুই বিয়ের খরচ মেটাতে, কেউ আবার হানিমুন কিংবা নতুন সংসার গুছিয়ে নিতে।
বিশেষ করে শহুরে মধ্যবিত্ত তরুণ প্রজন্ম এই ঋণের দিকে ঝুঁকছেন বেশি, কারণ তারা চায় বাজেটের চাপে না পড়ে স্মরণীয় একটি দিন উপভোগ করতে।
তবে মনে রাখতে হবে, এটি কিন্তু এক ধরনের দায়। তাই লোন নেওয়ার আগে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে খরচ করতেই হবে, কিন্তু সেটা যেন ভবিষ্যতের ওপর চাপ হয়ে না পড়ে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
তাই যদি আপনি বা আপনার পরিবার বিয়ের আয়োজন নিয়ে আর্থিক চিন্তায় থাকেন, তাহলে এখনই খোঁজ নিতে পারেন কাছের ব্যাংকে। হয়ত আপনার স্বপ্নের বিয়েটা মাত্র কয়েকটি কাগজপত্র জমা দেওয়ার দূরত্বে রয়েছে
হ্যাপী