ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

আখের মাঠে নতুন স্বপ্ন বুনছেন বিক্রমপুরের কৃষকরা

ইস্পাহানী ইমরান, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ঢাকা

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২৩ জুন ২০২৫

আখের মাঠে নতুন স্বপ্ন বুনছেন বিক্রমপুরের কৃষকরা

ছবিঃ জনকণ্ঠ

ঐতিহ্যবাহী বিক্রমপুরের শ্রীনগর উপজেলায় কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার নাম হয়ে উঠেছে আখ চাষ। এক সময়ের ধান ও আলু নির্ভর কৃষির মাঝে এখন জায়গা করে নিচ্ছে লাভজনক ও টেকসই এই ফসল। ফলন ভালো, খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে আখ চাষে।

শ্রীনগরের বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, অনেক চাষিই এখন আলু ও সবজির পাশাপাশি কিংবা পরিবর্তে আখ চাষ করছেন। আখ চাষে জমির সঠিক ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং রোগবালাই তুলনামূলক কম হওয়ায় এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

বীরতারা ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, "গত বছর এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক আখ চাষ করেছিলাম। খরচ কম, লাভ ভালো হওয়ায় এবার দুই বিঘা জমিতে আখ লাগিয়েছি। এখন চাষ করেই লাভ হচ্ছে।"

বর্তমানে শ্রীনগরে প্রধানত ‘রকেট’, ‘কল্যাণ’ ও ‘আইজিএফ’ জাতের আখ চাষ হচ্ছে। প্রতি বিঘায় উৎপাদিত আখ থেকে কৃষকরা গড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন। আখের মিষ্টতা ও মোটা গড়নের জন্য এখানকার ফলন বাজারে ব্যাপক চাহিদা পাচ্ছে।

শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জনকণ্ঠকে বলেন, "এই অঞ্চলের মাটি আখ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কৃষকরা দিন দিন আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ একর জমিতে আখ চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।"

তবে কিছু সমস্যাও রয়ে গেছে। যথাযথ বিপণন ব্যবস্থা, পরিবহনের সুবিধা এবং আখ প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কারখানা না থাকায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হন।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, আখ চাষকে আরও সম্প্রসারিত করতে হলে সরকারিভাবে সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং চিনি বা গুড় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।

আলীম

×