“তেহরান আর ধৈর্য ধরবে না”—যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করল ইরান

কূটনীতি নয়, এবার প্রত্যাঘাতের হুমকি। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের ছায়ায় থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র—এমন অভিযোগ তুলে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকেই টার্গেট করল ইরান। এক শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে জানিয়ে দিয়েছেন, “যুদ্ধের আসল মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্র। এবার তাদেরই সরাসরি মূল্য দিতে হবে।”

গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দেন। এরই জেরে ইরানের রাজপথে ফুঁসে ওঠে জনতা। তেহরানে আয়োজিত এক বিশাল বিক্ষোভে ‘আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ’ চেয়ে স্লোগানে মুখর হয় শহর। অনেকেই বলছেন, এই ক্ষোভ আগাম দিনের বড় সংঘর্ষের ইঙ্গিত বহন করছে।

১১ দিন আগে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলা থেকেই শুরু এই পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ। প্রতিদিনের হামলা ও পাল্টা হামলায় এরই মধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে, আহতের সংখ্যা শ’ শ’ ছাড়িয়েছে। এর মাঝেই ইরানি কর্মকর্তার এ বক্তব্য জ্বালিয়ে দিল নতুন আগুন।

সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইরানি জনগণের মনোবল এখন আকাশচুম্বী। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার দাবি এত প্রবল আগে কখনো দেখা যায়নি। এ দাবিই আমাদের সামরিক পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, যুদ্ধ থামানোর যেসব আহ্বান আসছে, তা কেবল একটি ‘চতুর ফাঁদ’—ইরান কতটা প্রস্তুত তা যাচাই করার চেষ্টা মাত্র। তাঁর ভাষায়, “আমরা বিশ্বাস করি এই যুদ্ধ দীর্ঘ হতে পারে—দুই বছর পর্যন্তও চলতে পারে। এবং সেই অনুযায়ীই আমাদের প্রস্তুতি চলছে।”

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এখন আর কূটনৈতিক ময়দানে আটকে নেই, সরাসরি রণক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে। এবং ইরানের পক্ষ থেকে এবার যে বার্তা এসেছে, তা শুধুই প্রতিশোধের ডাক নয়—এ এক সরাসরি চ্যালেঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে।