
ছবিঃ সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়লেও বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় ৪% কমে গেছে।
সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়, যার জবাবে সোমবার কাতারে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।
এর প্রেক্ষিতে, সোমবার লন্ডনে বাজার খুললে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছায়। তবে দুপুরের মধ্যে তা কমে আসে এবং দিন শেষে তা প্রায় ৭৪ ডলার ব্যারেল দামে স্থির হয়। যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম আরও বেশি কমেছে, প্রায় ৭% হারে কমে হয়েছে ৬৮ ডলার ব্যারেল।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের সীমিত পাল্টা জবাবের কারণেই এই রাজনৈতিক উত্তেজনার বাজারে প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।
তবে ইরান যদি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন রুট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিত, তাহলে পরিস্থিতি অনেক বেশি সংকটজনক হয়ে উঠত।
এখনো পর্যন্ত তেলের দাম জানুয়ারির তুলনায় কম হলেও, এপ্রিল-মে মাসের তুলনায় বেশি, যা ইসরায়েলের ইরান হামলার পর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়ছে।
এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে জ্বালানির উচ্চমূল্যের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী পেট্রল, খাদ্য ও ভ্রমণের খরচ বাড়তে পারে—যা যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বহু দেশের নাগরিকদের ভোগাবে।
এই ধরনের প্রভাবই বিশ্বজুড়ে পড়েছিল রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর, যার অভিঘাত পড়েছিল প্রতিটি ঘরের জীবনে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেলের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন, “সবাই তেলের দাম কমিয়ে রাখো।”
মুমু