ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে ১০টি কার্যকর কৌশল 

প্রকাশিত: ০৯:০১, ২৪ জুন ২০২৫

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে ১০টি কার্যকর কৌশল 

ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভরপুর জীবনে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনায় একাগ্রতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক সময় বইয়ের পৃষ্ঠা ও ফোনের স্ক্রিনের মাঝে মন দুলে বেড়ায়। তবে মনোযোগ ধরে রাখা একটি দক্ষতা—যা চর্চা করে আয়ত্ত করা সম্ভব।

শিক্ষার্থীদের জন্য মনোযোগ বাড়াতে নিচে দেওয়া হলো ১০টি পরীক্ষিত উপায়:

১. নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করুন:
শুধু হোমওয়ার্ক শেষ করাই লক্ষ্য নয়, বরং প্রতিদিন কোন বিষয় বা অধ্যায় শেষ করবেন, সেটি স্পষ্ট করে ঠিক করুন। যেমন: একটি অধ্যায় শেষ করা বা ৫০টি অঙ্কের সমস্যা সমাধান করা।

২. পড়ার স্থান থেকে সব ধরনের বিঘ্ন দূর করুন:
টিভির সামনে বা পরিবারের ব্যস্ত জায়গায় বসে পড়বেন না। নিজের একটি নিরিবিলি ও নির্দিষ্ট পড়ার স্থান তৈরি করুন—যেখানে মোবাইল ফোনেরও কোনো জায়গা নেই।

৩. পোমোডোরো টেকনিক অনুসরণ করুন:
২৫ মিনিট পড়াশোনা করুন, এরপর ৫ মিনিট বিরতি নিন। এমন চারটি চক্রের পর নিন ১৫ মিনিটের বড় বিরতি। এতে মন সতেজ থাকে ও ক্লান্তি আসে না।

৪. পানিশূন্যতা দূর করুন ও হালকা খাবার খান:
অল্প পানি পান করা ও ভারী খাবার খাওয়ার ফলে ‘ব্রেইন ফগ’ হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও হালকা পুষ্টিকর খাবার খান, যা মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

৫. একটি সময়সূচি তৈরি করুন:
স্কুলে যেমন সময়সূচি থাকে, তেমনি বাসায়ও একটি রুটিন তৈরি করুন। এটি অভ্যাস ও শৃঙ্খলা গড়ে তোলে এবং সময় নষ্ট কম হয়।

৬. এক সময়ে একটি কাজ করুন:
একসঙ্গে অনেক কিছু করার চেষ্টায় মন বিভ্রান্ত হয়। তাই একটি বিষয়েই মনোযোগ দিন এবং সেটি শেষ করুন।

৭. সক্রিয়ভাবে পড়াশোনা করুন:
কেবল পড়ে যাওয়ার বদলে নোট তৈরি করুন, ছোট ফ্ল্যাশকার্ড বানান, বা মুখে উচ্চারণ করে পড়ুন। এতে তথ্য মনে রাখা সহজ হয়।

৮. পড়াশোনার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রাখুন:
পড়াশোনার সময় ফোন থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্লকার ব্যবহার করুন। আপনার বিরতিগুলোকেই ফোন ব্যবহার করার সময় হিসেবে রাখুন।

৯. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন:
রাত জেগে পড়লে পরীক্ষার সময় ক্লান্তি বা ‘ব্ল্যাঙ্ক’ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

১০. অগ্রগতি নিরীক্ষা করুন ও পুরস্কৃত করুন:
পড়াশোনার প্রতিটি ধাপে আপনার অগ্রগতি উদযাপন করুন। একটি অধ্যায় শেষ করলে নিজেকে চকলেট দিন বা পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলুন। এটি আপনাকে আত্ম-প্রেরণা জোগাবে।

শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে সঠিক পড়াশোনার অভ্যাস গড়েই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। এই অভ্যাসগুলো শিশু বয়স থেকেই গড়ে তুললে ভবিষ্যতে কর্মজীবনেও তার সুফল পাওয়া যাবে। মনে রাখবেন, স্মার্টভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়লে ফলাফলও হবে উন্নত।

নোভা

×