ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে এই ১২টি দেশ হতে পারে নিরাপদ আশ্রয়!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৭, ২৪ জুন ২০২৫

বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে এই ১২টি দেশ হতে পারে নিরাপদ আশ্রয়!

ছবি: সংগৃহীত

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ এবং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা। ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের 'বান্কার বাস্টার' বোমা দিয়ে ইরানের গোপন পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়, যার ফলে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফঃ
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই তার কাছে শান্তি মধ্যস্থতার অনুরোধ করেছে। তিনি একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। তবে পরিস্থিতি এখনো অস্থির। আন্তর্জাতিকভাবে সম্ভাব্য বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক গাঢ় হচ্ছে।

তৃতীয় প্যারাগ্রাফঃ
রাশিয়ার জাতিসংঘ দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া মার্কিন হামলাকে 'প্যান্ডোরার বাক্স' খুলে দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন, যা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

চতুর্থ প্যারাগ্রাফঃ
বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে গেলে বেশিরভাগ দেশ এতে জড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু কিছু দেশ তাদের ভৌগোলিক অবস্থান, সামরিক নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে। দ্য মেট্রো প্রকাশ করেছে এমন ১২টি দেশের তালিকা, যারা সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিরাপদ গন্তব্য হতে পারে।

নিরাপদ দেশগুলোর তালিকা 
অ্যান্টার্কটিকা

পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এটি সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হতে পারে। যদিও প্রাকৃতিক পরিবেশ অতিশয় প্রতিকূল।

আইসল্যান্ড
শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় শীর্ষে। কোনও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়ায়নি। ইউরোপের কেন্দ্র থেকে দূরে হওয়ায় যুদ্ধের প্রভাব কম পড়বে।

নিউজিল্যান্ড
নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি ও পাহাড়-ঘেরা অঞ্চল এটিকে নিরাপদ করে তোলে। যুদ্ধের সম্ভাব্য টার্গেট হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সুইজারল্যান্ড
ঐতিহাসিকভাবে নিরপেক্ষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও নিরপেক্ষ থেকেছে। পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে এবং উচ্চ সুরক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান।

গ্রীনল্যান্ড
বৃহত্তম দ্বীপ এবং খুবই কম জনসংখ্যা। অবস্থানগতভাবে দূরে থাকায় বিশ্বযুদ্ধের আঘাত থেকে মুক্ত থাকতে পারে।

ইন্দোনেশিয়া
নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি ও যুদ্ধবিরোধী অবস্থান এটিকে তুলনামূলক নিরাপদ দেশ বানিয়েছে।

তুভালু
মাত্র ১১ হাজার জনসংখ্যা। সামরিকভাবে অনগ্রসর হওয়ায় এটিকে হামলার টার্গেট হিসেবে দেখা হয় না।

আর্জেন্টিনা
যখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে, তখন অনেকেই ভাবছেন—কোন দেশে গিয়ে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব? খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে যে দেশটি অনেকাংশে এগিয়ে, সেটি হলো দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা। বিশ্বযুদ্ধ বা পারমাণবিক সংকট দেখা দিলে সবচেয়ে বড় বিপদ হবে খাদ্য সরবরাহের অভাব। তবে আর্জেন্টিনার নিজস্ব খাদ্যশস্য ও প্রাণিসম্পদ এতই প্রাচুর্যপূর্ণ যে, তারা দীর্ঘ সময় নিজেদের খাদ্যচাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

ভুটান
১৯৭১ সাল থেকেই নিরপেক্ষ। হিমালয়ের কোলঘেঁষা ছোট দেশ হওয়ায় রক্ষা পাওয়া সহজ।

চিলি

৪ হাজার মাইল দীর্ঘ উপকূলীয় দেশ চিলি দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলজুড়ে বিস্তৃত। এর ভৌগোলিক বৈচিত্র্য অনন্য—উত্তরে বিশ্বের শুষ্কতম মরুভূমি (আটাকামা), দক্ষিণে বরফে ঢাকা পাহাড় ও হিমবাহ। এই বৈচিত্র্য চিলিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধকালীন সময়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোগাতে সাহায্য করতে পারে।

  • প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ: তামা, লিথিয়াম, সোনা, রূপার মতো খনিজে ভরপুর। এই সম্পদ অর্থনৈতিক টিকে থাকার পথ করে দেয়।

  • পানির উৎস ও কৃষি: পাহাড়ি অঞ্চলের বরফগলা নদী ও উপকূলীয় জলসম্পদ পানির চাহিদা পূরণে সক্ষম।

  • উন্নত পরিকাঠামো: দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম উন্নত সড়ক, বন্দর, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা চিলিকে যেকোনো সংকটে সাশ্রয়ী ও সংযুক্ত রাখতে পারে।

  • রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামরিক নিরপেক্ষতা: চিলি আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে সাধারণত নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়, তাই আক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলক কম।

ফিজি

অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ২৭০০ মাইল দূরের দ্বীপ রাষ্ট্র ফিজি প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে একটি বিচ্ছিন্ন, শান্তিপূর্ণ ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে ঘেরা দেশ। বিশ্বের অন্যতম নিরপেক্ষ ও নিরাপদ স্থান হিসেবে ধরা হয়।

  • ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা: যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু থেকে অনেক দূরে থাকায় ফিজিতে সামরিক হস্তক্ষেপ বা আক্রমণের সম্ভাবনা একেবারেই নগণ্য।

  • নগণ্য সেনাবাহিনী: দেশের সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ খুবই কম, যা এটিকে যুদ্ধ-এড়িয়ে চলার দেশে পরিণত করেছে।

  • বনাঞ্চল ও কৃষি: প্রচুর বৃষ্টিপাত, বন, ফলমূল ও সামুদ্রিক সম্পদ থাকায় খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।

  • গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে (GPI) উচ্চ অবস্থান: শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকায় এটি বিশ্বযুদ্ধকালীন নিরাপদ বিকল্প।

দক্ষিণ আফ্রিকা
উর্বর জমি, পানি এবং আধুনিক অবকাঠামো থাকার কারণে এটি টিকে থাকার সুযোগ তৈরি করতে পারে।

মুমু ২

×