
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এক নতুন মোড়। টানা ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর ইসরাইলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ এবার গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেন।
মঙ্গলবার সকালে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) লাপিদ লিখেছেন, "এখন বাকি শুধু গাজা। সেখানেও যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে। জিম্মিদের ফিরিয়ে দাও, যুদ্ধ শেষ করো!"
লাপিদের এই মন্তব্যকে অনেকেই ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন, যদিও সরকারি মহল থেকে এখনো এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
একদিকে যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত, অন্যদিকে গাজায় আগ্রাসী হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। সোমবার (২৩ জুন) ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলা ও গুলিতে অন্তত ৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি মেডিকেল সূত্র এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২০ জন ছিলেন সাধারণ ত্রাণপ্রার্থী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফ পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, জিএইচএফকে “মানবিক হাতিয়ার” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নীতিগতভাবে অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।
গাজার মেডিকেল সূত্র অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গাজার আল-জাজিরা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, “ইসরাইল একদিকে ইরানের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত, অন্যদিকে গাজাজুড়ে তাঁবু বা আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রাফা ও নেটজারিম করিডোরে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় শুধু সোমবারেই ১৩ ত্রাণপ্রার্থী নিহত হয়েছেন।”
২৭ মে থেকে জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ শুরু হওয়ার পর নিহত ৪০০+ ত্রাণপ্রার্থী, আহত প্রায় ১০০০ জন।
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে যে মানুষদের প্রাণ দিতে হচ্ছে, সেই ছবিগুলো বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে চাপ তৈরি হচ্ছে, বিশেষ করে গাজার যুদ্ধ থামানোর আহ্বানে ইয়ার লাপিদের মতামত প্রকাশের পর।
মিমিয়া