
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথকে কেন্দ্র করে ৩৯ দিন নগর ভবন তালা দিয়ে রেখেছিলেন তার সমর্থকরা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় টানা ৪০ দিন তালাবদ্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) সকালে গেটের তালাগুলো (আংশিক) খুলে দেওয়া হলো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দেন।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। ‘আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসলেন কিনা’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন থেকে আমরা কোনোদিনই পেছাবো না। এই দাবিটা আমাদের চিরকালই থেকে যাবে।’
‘কারণ, এখানে বর্তমান যে সরকার তারা সুস্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। বাংলাদেশের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনাকে অবমাননা করেছে। সরকারি চাকুরিবিধির অনেকগুলো ধারা তারা লঙ্ঘন করেছে, এবং সর্বোপরি জনগণের ভোটাধিকারকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।’
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘এই বিষয়গুলো কিন্তু ইতিমধ্যে তারা করেছে। তো এখান থেকে আন্দোলন থেকে ফিরে আসা বা দাবি থেকে ফেরে আসার কোনো বিষয় নাই। আসলে আমি কিন্তু গিয়েছি খুব কম বার, পুরো ২০ থেকে ২৫ দিন ধরে আন্দোলনটি চলেছে। কোরবানির ঈদের ছুটির আগে ধারাবাহিকভাবে ১৮ দিনের মতো আন্দোলনটি হয়েছে। সেখানে আমি ৩ দিন বা ৪ দিন গিয়েছিলাম।’
‘এই আন্দোলনটা কিন্তু শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে যারা আমাকে ভোট দিয়েছিলেন ২০২০ সালে। সর্বস্তরের ভোটাররা, সাথে যুক্ত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এবং অন্যান্য যে কয়টি ইউনিয়ন আছে। স্ক্যাভেঞ্জার্স ইউনিয়ন, ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী। এই আন্দোলনটি সূচনাই করেছে তারা এবং আশেপাশে অনেকগুলো মার্কেট রয়েছে, মার্কেট সমিতির লোকজনরা রয়েছেন, সভাপতিসহ অন্যদের নেতৃত্বে বড় একটি অংশ নিয়মিতই অংশগ্রহণ করেছে।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই সূচনা থেকে পরবর্তীতে আরও নেতাকর্মীরা উদ্বুদ্ধ হয়ে নগর ভবনে আসে এবং জমায়েতটি বড় হয়। এক পর্যায়ে আমাকে দলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে আমি যাতে সেখানে যেয়ে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করি।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=nwyvUY_6tvo
রাকিব