
ছবি: প্রতীকী
বাড়তি ওজন কিংবা কোমরের চারপাশে জমে থাকা মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকেরই। তবে বিশেষ কোনো কষ্ট না করেই, দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনে সহজেই এই বাড়তি মেদ ঝরানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কার্যকর উপায় হলো খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত ফাইবার যুক্ত করা। যদিও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিন বা ব্যায়ামের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু ফাইবার একটি গোপন সহায়ক উপাদান হিসেবে কাজ করে—যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ফাইবারযুক্ত খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে, ফলে ঘন ঘন খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। এটি হজমপ্রক্রিয়া ধীর করে ক্ষুধা ও খাদ্যাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়ে দেয়। ফলে প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের ওজন কমতে শুরু করে।
এছাড়া, ফাইবার অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট ফুলে থাকা বা অস্বস্তির অনুভূতি কমায়। নিয়মিত ফাইবার গ্রহণ হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট চ্যাপ্টা রাখতে ভূমিকা রাখে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রক্তে চিনির শোষণ ধীর করে দেয়, ফলে ইনসুলিন স্পাইক কম হয় এবং মেদ জমার প্রবণতা হ্রাস পায়। একই সঙ্গে শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে বাড়তি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
গবেষণা বলছে, ওটস, বিনস, তিসি বা ফ্ল্যাক্স সিডের মতো দ্রবণীয় ফাইবারযুক্ত খাবার পেটের গভীরে জমে থাকা ভিসারাল ফ্যাট কমাতে বেশ কার্যকর। এই অভ্যন্তরীণ চর্বি কেবল সৌন্দর্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এ ধরনের ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
স্বাভাবিক উপায়েই যদি কোমরের মেদ ঝরাতে চান, তবে এখনই খাদ্যতালিকায় ফাইবার বাড়িয়ে দিন—নিয়মিত ফল, সবজি, বাদাম, ডাল এবং শস্য খাওয়া শুরু করুন। ফলাফল মিলবে ধীরে ধীরে, তবে তা হবে টেকসই এবং স্বাস্থ্যকর।
এম.কে.