
গ্রীষ্মকালে এসি এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজন। তবে এসি কেনার আগে একটা বড় প্রশ্ন উঠে আসে—ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার? কোনটি আপনার ঘরের জন্য সাশ্রয়ী ও কার্যকর হবে?
কম্প্রেসারের পার্থক্য:
ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী গতি নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। অপরদিকে, নন-ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার একটানা একই গতিতে চলে এবং ঘনঘন চালু–বন্ধ হয়, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি:
ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ খরচে অনেকটাই সাশ্রয়ী। এতে ব্যবহৃত হয় ‘পালস উইথড মডুলেশন’ প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঘর ঠান্ডা করে ও এসির আয়ু বাড়ায়। এ ছাড়া ইনভার্টার এসিতে ব্যবহৃত R-32 রেফ্রিজারেন্ট পরিবেশবান্ধব। বিপরীতে, নন-ইনভার্টার এসিতে ব্যবহৃত পুরোনো ধরনের রেফ্রিজারেন্ট পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ও আরামদায়ক ঠান্ডা:
ইনভার্টার এসি ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে বেশি কার্যকর এবং তাপমাত্রা হঠাৎ পরিবর্তনেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
দামের দিক থেকে পার্থক্য:
ইনভার্টার এসির দাম একটু বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচে সাশ্রয়ী। নন-ইনভার্টার এসি কমদামি হলেও ভবিষ্যতে বিল ও সার্ভিসিং খরচ বেশি হয়।
সিদ্ধান্ত:
যদি আপনি দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়, পরিবেশবান্ধবতা ও আধুনিক প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেন, তাহলে ইনভার্টার এসিই হবে সেরা পছন্দ। তবে সাময়িক বাজেট কম থাকলে নন-ইনভার্টার এসিও হতে পারে একটি বিকল্প।
রাজু