ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ইরান খুব শিগগিরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে। অথচ তার নিজ দেশের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, এর কোনো প্রমাণ নেই।
ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমার গোয়েন্দা সংস্থা ভুল বলছে।” সাংবাদিক যখন উল্লেখ করেন যে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক টালসি গ্যাবার্ড বলেছেন ইরান এখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না, তখন ট্রাম্প প্রত্যুত্তরে বলেন, “সে ভুল বলেছে।”
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ
ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান ইতিমধ্যে প্রচুর পরিমাণে পারমাণবিক উপাদান সংগ্রহ করেছে এবং “কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যেই তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা তা হতে দিতে পারি না।”
এই বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে তিনি আবারও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন, যদিও মার্কিন গোয়েন্দা কমিউনিটি এখনো সেই মাত্রার প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
“ইরাক যুদ্ধে আমি বিপক্ষে ছিলাম”
ইরাক যুদ্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আমি তখন সাধারণ নাগরিক হলেও ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলাম। আমি বারবার বলেছি, যেও না, যেও না। কিন্তু তারা গেলে বলেছিলাম, অন্তত তেলের নিয়ন্ত্রণ নাও। সেটাও তারা করেনি।”
ট্রাম্প অতীতে ইরাক যুদ্ধ নিয়ে তার বিরোধিতার কথা বারবার বলে আসছেন, এবং এবারও তিনি সেই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
চীন প্রসঙ্গে মন্তব্য
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প চীনের সাথেও তার ভালো সম্পর্কের কথা বলেন। “আমি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে পছন্দ করি, তিনিও আমাকে পছন্দ করেন। আমরা ভালো বোঝাপড়ায় আছি,” বলেন তিনি। তবে ইরান-ইসরাইল সংঘাতে চীন জড়াবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি ভাবতেও পারি না যে চীন এতে জড়াবে।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। একদিকে তিনি দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টকে খণ্ডন করছেন, অন্যদিকে ইরানকে পারমাণবিক হুমকি হিসেবে তুলে ধরছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই ধরনের বক্তব্য কূটনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘনীভূত।
আঁখি
