
ছবিঃ সংগৃহীত
বয়স বাড়লেই যেন দুর্বলতা বা নির্ভরশীলতা অনিবার্য—এমন ধারণা আজ অনেকটাই বদলে গেছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছু সহজ দৈনন্দিন অভ্যাস ধরে রাখলেই ষাটোর্ধ্বরাও দীর্ঘদিন স্বতন্ত্র, সক্রিয় ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৮টি অভ্যাস যা বয়স্কদের করে তোলে সাবলম্বী ও মানসিকভাবে পরিষ্কার-চিন্তাশীল:
শরীরচর্চা চালিয়ে যান
নিয়মিত হাঁটা, হালকা ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম শুধু শরীরই নয়, মস্তিষ্ককেও সতেজ রাখে। চলাফেরা চালিয়ে গেলে শরীরের ভারসাম্য, রক্তচাপ ও মনোযোগ উন্নত থাকে।
সামাজিকভাবে যুক্ত থাকুন
বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী বা কোনো ক্লাবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে একাকিত্ব দূর হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি বিষণ্নতা প্রতিরোধেও কার্যকর।
মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করুন
নতুন কিছু শেখা—যেমন বই পড়া, ধাঁধা সমাধান, ভাষা শেখা বা কোনো অনলাইন কোর্স নেওয়া—মস্তিষ্কে নতুন নিউরাল পথ তৈরি করে, যা মানসিক ধারালোতা বজায় রাখে।
উদ্দেশ্যমূলক রুটিন গড়ে তুলুন
প্রতিদিন একটি লক্ষ্য নিয়ে দিন শুরু করুন—তা হতে পারে বাগান করা, বই পড়া, বা স্বেচ্ছাসেবী কাজ। এটি মনকে গঠনমূলক রাখে এবং একঘেয়েমি দূর করে।
চিন্তা ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন, বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস মানসিক চাপ হ্রাস করে। নিয়মিত Journaling বা ‘কী নিয়ে চিন্তা করছি’ তা লিখে রাখাও সহায়ক।
প্রযুক্তি গ্রহণ করুন
ভিডিও কল, স্বাস্থ্য অ্যাপস, অনলাইন কেনাকাটা—এইসব প্রযুক্তি ব্যবহার জীবনকে সহজ করে এবং যোগাযোগ বাড়ায়। টেকনোলজির প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মানসিক নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।
ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখুন
বয়সকে সীমাবদ্ধতা নয়, সুযোগ হিসেবে দেখুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যারা বয়স সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা রাখেন, তারা দীর্ঘজীবী হন ও মানসিকভাবে বেশি স্থিতিশীল থাকেন।
পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন
ভালো ঘুম মানসিক স্বচ্ছতা ও স্মৃতিশক্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। রাতের খাবার হালকা রাখা, স্ক্রিন টাইম কমানো ও একটি নির্দিষ্ট রুটিন মানা ঘুমকে উন্নত করে।
সতেজ ও স্বাধীন থাকার জন্য কোনো ম্যাজিক লাগে না—প্রয়োজন কিছু সচেতন অভ্যাস। এই অভ্যাসগুলো শুধু বার্ধক্যের জন্য নয়, যেকোনো বয়সেই জীবনের গুণগত মান বাড়াতে সহায়ক।
আরশি