
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
প্রসব বেদনা নিয়ে ছটফট করে তারা হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু তাৎক্ষনিক সেবাদানকারীরা কেউই এগিয়ে আসেননি। অতঃপর অসম্ভব যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে ওয়ার্ডের বাইরেই ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই প্রসুতি দুটি সন্তান প্রসব করেন।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫নং ওয়ার্ডে সামনে। দুই প্রসুতির মধ্যে একজন এসেছিলেন গোলাপগঞ্জের বাউসি গ্রাম থেকে এবং অপরজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রাম থেকে। বাউসি গ্রামের রতন দাসের স্ত্রী মিতালী দাস (২৫) অযত্ন অবহেলায় একটি পূত্র সন্তান প্রসব করেন। চাটিবহর গ্রামের মো. শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম (১৯) একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দুই প্রসূতির স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫নং ওয়ার্ডে সামনে পৌঁছান সুমি ও মিতালী এবং তাদের স্বজনরা। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কর্মরত নার্সের কাছে গেলেও তারা তাদের কথা শুনেনি। বরং সিরিয়াল ধরার নির্দেশ দিয়ে দুই নার্স নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন। রোগীর অবস্থা জরুরী বলার পরেও তারা জানিয়ে দেন তাদের করার কিছু নেই। এ অবস্থায় বসে থাকা একজন প্রসূতির চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বসা অবস্থাতেই তিনি একটা পূত্র সন্তান প্রসব করেন। তখন উপস্থিত স্বজন ও অন্যান্যরা দ্রুত আড়াল দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
এই আড়াল দিতে গিয়েও তারা নার্সদের কাছ থেকে কোনো সহযোগীতা পান নি। একটা পর্দা করার জন্য একটা চাদর চাইলেও তারা সাড়া দেননি। অবশেষ উপস্থিত একজন মহিলা নিজের পরনের শাড়ি খুলে আড়ালে ব্যবস্থা করেন। এর ১০ মিনিট পরে অপর মহিলাও একইভাবে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নার্সরা রোগীদের সাথে এমন অমানবিক আচরণ করতে পারে- তারা তা কল্পনাও করতে পারেন নি। প্রসবের পরে অবশ্য টনক নড়ে মোবাইলে ব্যাস্ত নার্সদের। আসেন একজন ডাক্তারও। দুই প্রসূতিকে স্থান দেয়া হয় ওয়ার্ডে।
নোভা