
ছবি: সংগৃহীত
একবিংশ শতাব্দীর হাই-টেক যুগে যেখানে সবাই ব্যস্ত প্রযুক্তি, সময় আর স্ট্রেসে, সেখানে ৬২ বছরের ইয়েমেনের এক ব্যক্তি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। তার নাম আলিয়াহ। তিনি স্থায়ীভাবে বেছে নিয়েছেন গুহায় বসবাস আর প্রাকৃতিক জীবন।
আলিয়াহ বসবাস করেন ইয়েমেনের সোকোত্রা দ্বীপের উপকূলে একটি গুহায়। তিনি প্রযুক্তি বা বিদ্যুৎ থেকে একদম বিচ্ছিন্ন, থাকেন প্রাকৃতিক নিয়মে। খাবার জোগাড় করেন সমুদ্র থেকে মাছ ধরে, আগুন জ্বালান কাঠ দিয়ে, আর ঘুমান পাথরের গুহায়।
ট্রাভেল ভ্লগার কলিন তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যায় আলিয়াহ হাতে মাছ ধরছেন, খালি পায়ে হাঁটছেন, আগুন জ্বালাচ্ছেন, আর হাসছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “এই মানুষটি হয়তো পৃথিবীর শেষ গুহাবাসী।” ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি মানুষ দেখেছেন।
অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “উনি কোটি টাকার মালিকদের চেয়েও ধনী।” আরেকজন লিখেছেন, “কোনো মোবাইল নেই, শুধু প্রকৃতির সাথে জীবন। একদম নির্মল।” অনেকে আবার ৬২ বছর বয়সেও আলিয়াহর স্বাস্থ্য ও দাঁতের সৌন্দর্য দেখে মজা করে বলেছেন, “উনি নিশ্চয়ই কোনো প্রাকৃতিক ডেন্টাল রুটিন অনুসরণ করেন!”
ভিডিওতে আলিয়াহ বলেন, তিনি জীবনে সন্তান হারিয়েছেন। কিন্তু সেই কষ্ট নিয়েও তিনি প্রকৃতির মাঝে জীবনযাপন করছেন কৃতজ্ঞতায়, দুঃখকে ছাপিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন।
আলিয়াহর জীবনে সময়ের কোনো ঘড়ি নেই। তিনি বলেন, “আমার দিন চলে জোয়ার-ভাটার সাথে। ফোন নেই, দুশ্চিন্তা নেই, শুধু বেঁচে থাকা।”
মুমু ২