ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

ফোন স্ক্রলিংয়ের নেশা থেকে মুক্তির ৫ পরামর্শ

প্রকাশিত: ১৮:০১, ২৭ জুন ২০২৫

ফোন স্ক্রলিংয়ের নেশা থেকে মুক্তির ৫ পরামর্শ

ছবিঃ সংগৃহীত

দিনের শুরু হোক বা শেষ—অধিকাংশ মানুষের হাতে থাকে মোবাইল ফোন। ঘুম থেকে উঠেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ বুলানো, বাসে-ট্রেনে বা বিছানায় শুয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করা এখন নিত্যদিনের চিত্র। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে নেশায় পরিণত হচ্ছে, যা মানসিক স্বাস্থ্য, ঘুম এবং ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই সময় এসেছে ফোন স্ক্রলিংয়ের নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার। নিচে দেওয়া হলো এর থেকে মুক্তির ৫টি কার্যকর পরামর্শ—

১. নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন স্ক্রল করার জন্য
দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন, যেটাতে আপনি ফোন ব্যবহার করবেন বিনোদনের জন্য। বাকি সময় ফোন দূরে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ ঘণ্টা ফোনমুক্ত রাখুন নিজেকে।

২. স্ক্রিন টাইম ট্র্যাক করুন
বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ বা ডিভাইসের সেটিংসে থাকা স্ক্রিন টাইম অপশন ব্যবহার করে দেখতে পারেন, আপনি দিনে কত ঘণ্টা ফোনে কাটাচ্ছেন। এটি আপনাকে নিজের ব্যবহার নিয়ে সচেতন হতে সাহায্য করবে।

৩. 'ডিজিটাল ডিটক্স ডে' পালন করুন
সপ্তাহে অন্তত একদিন বা কিছু ঘণ্টা 'ডিজিটাল ডিটক্স' করুন—অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে ফোন, ট্যাব বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন। এই সময়টাতে বই পড়া, হাঁটাহাঁটি, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো বা কোনো শখের কাজ করুন।

৪. নোটিফিকেশন বন্ধ করুন
প্রতিটি অ্যাপের নোটিফিকেশন আপনার মনোযোগ নষ্ট করে এবং অকারণে ফোন হাতে তুলে নিতে বাধ্য করে। প্রয়োজন ছাড়া সব নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর।

৫. ঘুমানোর সময় ফোন দূরে রাখুন
অনেকেই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন স্ক্রল করেন, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে ফোন হাত থেকে নামিয়ে রাখুন এবং ফোনটি বিছানা থেকে দূরে কোথাও রাখুন।

উপসংহার
প্রযুক্তি আমাদের জীবনে অবিচ্ছেদ্য হলেও এর অপব্যবহার থেকে নিজেকে রক্ষা করাই এখন চ্যালেঞ্জ। ফোন স্ক্রলিংয়ের নেশা থেকে বের হতে চাইলে প্রথম পদক্ষেপ হতে হবে নিজের ব্যবহার নিয়ে সচেতন হওয়া। একটু চেষ্টা করলে এই নেশা থেকে বেরিয়ে জীবনকে আরও প্রোডাক্টিভ ও মানসিকভাবে প্রশান্তিময় করা সম্ভব।

আলীম

×