
ছবিঃ সংগৃহীত
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার (হাইপারটেনশন) একটি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে রক্তনালির ওপর রক্তের চাপ দীর্ঘ সময় ধরে বেশি থাকে। এটি নিয়ন্ত্রণে না আনলে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা এবং ওষুধ—এই তিনটি মিলেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।
তবে নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এসব ওষুধ শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদান হারিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে।
কোন ওষুধে কী ধরনের পুষ্টি হ্রাস হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ওষুধ শরীর থেকে খনিজ উপাদান নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে ‘ডাইইউরেটিকস’ নামক ওষুধ। এই ওষুধ মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের করে দেয়, ফলে রক্তচাপ কমে। কিন্তু সেইসঙ্গে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ আরও কিছু প্রয়োজনীয় খনিজও বেরিয়ে যায় শরীর থেকে।
এছাড়া বিটা-ব্লকারসহ কিছু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ রয়েছে, যেগুলো শরীরের পুষ্টি শোষণ বা বিপাকক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
কী করবেন?
যেহেতু উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে সেবন করতে হয়, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ বন্ধ করা ঠিক নয়। তবে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি নির্ণয় করা যেতে পারে এবং প্রয়োজনে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অথবা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
পরামর্শ: আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করেন, তাহলে বছরে একবার অন্তত পুষ্টি পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়া ভালো। এতে ভবিষ্যতের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
আলীম