ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইইউকে অনুরোধ করবে ইউক্রেন

প্রকাশিত: ০১:৪৫, ২৮ জুন ২০২৫

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইইউকে অনুরোধ করবে ইউক্রেন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে সংগৃহীত গম বাংলাদেশ আমদানি করছে—এমন অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। একাধিকবার সতর্ক করার পরও আমদানি বন্ধ না হওয়ায় এবার ইউক্রেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাতে যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলতে যাচ্ছে কিয়েভ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “রাশিয়ার কিছু কোম্পানি অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে শস্য সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার গমের সঙ্গে মিশিয়ে রপ্তানি করছে। এটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্পষ্ট অপরাধ। আমরা আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ও তদন্ত প্রতিবেদন ইইউর কাছে পেশ করবো।”

রয়টার্সের হাতে থাকা নথিপত্র অনুযায়ী, চলতি বছর ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস থেকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিগুলোতে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে আমদানি করা প্রায় ১.৫ লাখ টনেরও বেশি ‘চুরি করা গম’ গ্রহণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ কৃষিভূমি রাশিয়া দখলে নেয়ার পর থেকেই ‘গম চুরি’র অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এই অভিযোগ আরও জোরালো হয়। তবে মস্কোর দাবি, ওই অঞ্চল এখন রাশিয়ার অংশ, এবং তারা বৈধভাবেই গম রপ্তানি করছে।

এ বিষয়ে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “বাংলাদেশ কখনোই চুরি করা গম আমদানি করে না। অধিকৃত অঞ্চল থেকে কোনো গম সংগ্রহ করা হয়নি।”

আসিফ

×