
ছবি: জনকণ্ঠ
ফটিকছড়িতে এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ও পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র।
উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও এসবের তোয়াক্কা করছে না বালু উত্তোলনকারীরা। প্রতিনিয়ত হালদা নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, যার কারণে হালদার নানামুখী ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা।
জানা যায়, উপজেলার অন্তত ১০টি স্থানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বালু খেকোরা। এর মধ্যে রয়েছে—নারায়ণহাট ভূমি অফিস সংলগ্ন কুলালপাড়া, মির্জারহাটের অদূরে ভাঙ্গাপুল, হাঁপানিয়া, ভূজপুর রাবার ড্যাম, সুয়াবিল মালাকরপাড়া এবং সমিতিরহাট ইউনিয়নের আরবানিয়া সওদাগর ব্রিজ এলাকা। এসব স্থানে একাধিক সিন্ডিকেট দেদারসে বালু উত্তোলন করছে।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু মেম্বার এবং মির্জারহাটে যুবদল নেতা বেলাল হালদা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এক স্থানে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে বালু খেকোরা স্থান পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে যায়।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু মেম্বার এবং যুবদল নেতা বেলাল বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমরা বালু উত্তোলনের সঙ্গে যুক্ত নই।
এদিকে, হালদা থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে মা মাছের প্রজনন ক্ষেত্র যেমন বিনষ্ট হচ্ছে, তেমনি জীববৈচিত্র্য রক্ষাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “হালদা নদী থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বালু উত্তোলনের খবর পেলেই আমরা অভিযান পরিচালনা করি।”
এম.কে.