
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব ও রাজনীতি বিশ্লেষক আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, ‘ব্যক্তির সংস্কার তো এই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে করা সম্ভব না। ব্যক্তির সংস্কার ব্যক্তিকে করতে হবে, এটা পরিবার থেকে হতে পারে, স্কুল থেকে হতে পারে, শিক্ষালয়ে হতে পারে।’
‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজেদের সংস্কার নিজেরাই করবে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের কর্মীদের বা তাদের নেতা-নেত্রীকে কীভাবে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে, সেবক বানাবে, সেটা রাজনৈতিক দলের কাজ।’
‘ওইখানে প্রধান উপদেষ্টা বা তাদের কোনো কাজ নাই। এটা কোনো এনজিও প্রজেক্ট হতে পারে না যে আমরা একটা এনজিও প্রজেক্ট খুলে দিলাম, ওখানে সব রাজনৈতিক কর্মীদের ট্রেনিং হবে।’
আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, ‘পার্লামেন্টের যারা এমপি ছিলেন, ইউনিসেফ, ইউনেস্কো তাদেরকে অনেক ট্রেনিং দিয়েছে। তাদেরও খুব একটা লাভ হয়নি। পুলিশকে মানবাধিকার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ওখানে এই মানবাধিকারের উপরে অনেক ঘণ্টা লেকচার দেওয়া হয়, তারপর আসার পরে ওটা সব ভুলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সংস্কারগুলো মাইক্রো লেভেলে। এটা সরকারকে করতে হবে যারা সরকার পরিচালনা করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের তো মেয়াদ একটা আছে। এটা তো অনেক বছরের জন্য আসে নাই। ১০ বছর ২০ বছর যদি সময় দেন, তাহলে হয়তো কিছু করতে পারবে। কিন্তু তাদের যে উপদেষ্টা পরিষদ আছে, তাদের যে যোগ্যতা, তাদের যে সীমাবদ্ধতা, এটা তো জনগণের কাছে স্পষ্ট।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=oXGTysSC8a8
রাকিব