
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজে (NAFLD) আক্রান্ত। আমাদের যকৃত শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ, যা খাদ্য হজম, শক্তি সঞ্চয় এবং বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত চিনি ও ফ্যাটযুক্ত খাবারের কারণে এই অঙ্গ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমানে ফ্যাটি লিভার এক মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার জন্য জরুরি পদক্ষেপ দরকার।
২৬ জুন প্রকাশিত এক ভিডিওতে ডাঃ সৌরভ সেঠি বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য ও ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ফ্যাটি লিভারের জন্য ১০টি পরিচিত খাবারের র্যাঙ্কিং দিয়েছেন:
খাবার রেটিং (১০-এর মধ্যে)
- ব্ল্যাক কফি ১০/১০
- অ্যাভোকাডো ৯/১০
- চিয়া ও তুলসী বীজ ৮/১০
- বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি) ৭/১০
- বিটরুট ৬/১০
- গ্রিন টি ৫/১০
- স্মুদি (ফ্রুট বেসড) ৪/১০
- অতিপাকা কলা ৩/১০
- ফ্রেশ ফলের রস ২/১০
- বাজারের প্যাকেটজাত জুস ১/১০
ব্ল্যাক কফি সবচেয়ে ভালো, আর প্যাকেট জুস সবচেয়ে খারাপ!
ব্ল্যাক কফিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে বাজারে বিক্রি হওয়া প্যাকেটজাত ফলের রসে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা লিভারের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। অতিপাকা কলা ও স্মুদিতেও চিনির মাত্রা বেশি, তাই তা কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।
কে ঝুঁকিতে বেশি?
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ সাধারণত নিচের ধরণের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়:
- টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত
- ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন রয়েছে
- উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চ কোলেস্টেরল আছে
- মাঝবয়সী বা বয়স্ক (তবে শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে)
- দ্রুত ওজন কমানো হচ্ছে বা মেটাবলিক সিন্ড্রোম আছে
মুমু ২