
ছবি: সংগৃহীত
অ্যাভোকাডো—এই সবুজ ফলটিকে শুধু “ফ্যাটে ভরপুর” ভেবে দূরে সরিয়ে রাখা একেবারেই ভুল। বরং গবেষণায় দেখা গেছে, এটি একটি পুষ্টিতে ভরপুর সুপারফুড যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।
একটি মাঝারি আকারের অ্যাভোকাডো (প্রায় ১৫০ গ্রাম) খেলে যা পাওয়া যায়:
- ২৪০ ক্যালোরি
- ২২ গ্রাম চর্বি (যার মধ্যে ১৫ গ্রাম মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট)
- ১০ গ্রাম ফাইবার
- ৩ গ্রাম প্রোটিন
- ৭০০ মি.গ্রা. পটাশিয়াম
এছাড়া এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন C ও E এবং ফোলেট যা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
অ্যাভোকাডো খাওয়ার ৬টি উপকারিতা
১. হজমের জন্য দারুণ সহায়ক
ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন অ্যাভোকাডো খাওয়ায় অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এতে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।
২. হৃদযন্ত্রের যত্নে কাজ করে
অ্যাভোকাডোতে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পটাশিয়াম রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও করোনারি ডিজিজের ঝুঁকি কমে।
৩. ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখে
ভিটামিন E ও C সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়, মুখে বলিরেখা কমায় এবং চুলের শুষ্কতা দূর করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন খেলে মুখের ত্বক আরও টানটান ও মসৃণ হয়।
৪. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
অ্যাভোকাডোতে রয়েছে MUFA (মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড), ফাইবার, ক্যারোটিনয়েড ও ফোলেট যা স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। একে “ব্রেইন বুস্টিং ফল” বলা হয়।
৫. রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখে
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত এই ফলটি ডায়াবেটিকদের জন্য নিরাপদ। এতে থাকা ফাইবার ও চর্বি হজমের গতি কমায়, ফলে রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করে।
৬. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
অ্যাভোকাডোতে থাকা ভিটামিন E, C ও B গ্রুপের ভিটামিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। এছাড়া এটি প্রদাহ কমায় এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
কিভাবে খাওয়া যায়?
অ্যাভোকাডো টোস্ট: পাঁউরুটির উপর ম্যাশ করা অ্যাভোকাডো, লেবুর রস, লবণ-মরিচ ও চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে খাওয়া যায়।
অ্যাভোকাডো স্মুদি: স্পিনাচ, বেরি, কলা ও বীজের সঙ্গে ব্লেন্ড করে সুস্বাদু ড্রিংক তৈরি করা যায়।
অ্যাভোকাডো সালাদ: কেল বা পালং শাক, চেরি টমেটো, ফেটা চিজ ও পোচড ডিম দিয়ে বানানো যায় সুস্বাদু সালাদ।
মুমু ২