
ছবি: সংগৃহীত
কোষ্ঠকাঠিন্য আধুনিক জীবনযাত্রার একটি সাধারণ সমস্যা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেসের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৬% প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬০ ঊর্ধ্ব ৩৩% মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। ডায়েটারি ফাইবার ও তরলের অভাবই মূলত এর প্রধান কারণ। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিওতে হার্ভার্ড বিশেষজ্ঞ ডা. সৌরভ সেঠি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ৬টি ফলের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. কিউই
-
কারণ: এতে থাকা অ্যাক্টিনিডিন হজমশক্তি বাড়ায়।
-
গবেষণা: দিনে ২টি সোনালি কিউই খেলে মলত্যাগে চাপ কমে, সবুজ কিউই মলের গঠন উন্নত করে।
-
ফাইবার: প্রতি কিউইতে ২ গ্রাম (দৈনিক চাহিদার ৮%)।
২. নাশপাতি
-
কারণ: এতে থাকা সরবিটল নামক শর্করা মল নরম করতে সাহায্য করে।
-
গবেষণা: সরবিটল কোলনে পানি টেনে এনে মলত্যাগ সহজ করে।
-
ফাইবার: প্রতি নাশপাতিতে ৫.৫ গ্রাম (দৈনিক চাহিদার ২০%)।
৩. আপেল
-
কারণ: পেকটিন (দ্রবণীয় ফাইবার) ও খোসায় অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে।
-
গবেষণা: পেকটিন অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং মলত্যাগ নিয়মিত করে।
-
ফাইবার: ১টি মাঝারি আপেলে ৪ গ্রাম (দৈনিক চাহিদার ১৪%)।
৪. পেঁপে
-
কারণ: পাপাইন এনজাইম হজমে সাহায্য করে।
-
গবেষণা: পেঁপে পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
-
ফাইবার: ১টি ছোট পেঁপেতে ৩ গ্রাম।
৫. প্রুনস (শুকনো বরই)
-
কারণ: প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে।
-
গবেষণা: প্রুনসের রস শক্ত মল নরম করতে সাহায্য করে।
৬. বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি)
-
কারণ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ।
-
গবেষণা: দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার মলের পরিমাণ বাড়িয়ে নিয়মিততা আনে।
"প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফলগুলো যোগ করুন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সময় পানি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে পারে,"
সতর্কতা: কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘস্থায়ী হলে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
সূত্র: ETimes, USDA, ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন
সাব্বির