
বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (NIH) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনে ৩ জন এই রোগে আক্রান্ত, যার সংখ্যা দিনে দিনে আরও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের উপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
হার্ভার্ড এবং স্ট্যানফোর্ড ট্রেইন্ড গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ও লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. সৌরভ সেঠি সম্প্রতি একটি ভিডিওতে ১০টি সাধারণ খাবারকে র্যাঙ্ক করেছেন—যেগুলো ফ্যাটি লিভারের জন্য কতটা ভালো বা খারাপ তা তুলে ধরেছেন। ২৬ জুন প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল তথ্যের ভিত্তিতে খাবারগুলোর স্কোর নির্ধারণ করেছেন ১ থেকে ১০-এর মধ্যে।
ডা. সেঠি লিখেছেন, “আপনি যদি ফ্যাটি লিভার নিয়ে উদ্বিগ্ন হন বা লিভারের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চান, তাহলে এই ভিডিওটি আপনার জন্য। এখানে আমি ১০টি সাধারণ খাবার র্যাঙ্ক করছি, যেগুলোর প্রভাব ফ্যাটি লিভারের উপর ইতিবাচক বা নেতিবাচক হতে পারে।”
ফ্যাটি লিভারের জন্য ১০টি খাবারের স্কোর:
খাবার স্কোর (১০ এর মধ্যে)
ব্ল্যাক কফি ১০/১০
অ্যাভোকাডো ৯/১০
চিয়া ও তোকমা বীজ ৮/১০
বেরিজ (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি) ৭/১০
বিটরুট ৬/১০
গ্রিন টি ৫/১০
স্মুদি ৪/১০
অতিরিক্ত পাকা কলা ৩/১০
ফ্রেশ ফলের রস ২/১০
বাজার থেকে কেনা ফলের রস ১/১০
ফ্যাটি লিভার কী?
মেডলাইনপ্লাস অনুযায়ী, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এমন একটি অবস্থা, যেখানে লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে। এটি প্রধানত দুই ধরনের হয়— অ্যালকোহলজনিত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)।
NAFLD সাধারণত নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়:
টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিস আছে এমন ব্যক্তিরা
স্থূলতা আছে এমনরা
মধ্যবয়স্ক বা বয়স্ক (তবে শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে)
রক্তে কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি
উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে
মেটাবলিক সিনড্রোমের উপসর্গ রয়েছে
হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন হ্রাস
হেপাটাইটিস সি বা অনুরূপ সংক্রমণ
বিষাক্ত কেমিক্যাল বা ওষুধের সংস্পর্শে আসা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকলে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। আর সেই জায়গাতেই খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই র্যাঙ্কিং সহায়ক হতে পারে।
রিফাত