ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

সোলার স্ট্রিট লাইট চুরি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপাকে পথচারী

শাহাজাদ ইসলাম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:০৪, ২৭ জুন ২০২৫

সোলার স্ট্রিট লাইট চুরি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপাকে পথচারী

ছবিঃ সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রাত্রিকালীন চলাচলের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয় সোলার স্ট্রিট লাইট। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের (টিআর কাবিটা) অর্থায়নে এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৫০টি করে আধুনিক সোলার স্ট্রিট লাইট বসানো হয়, যা রাতে রাস্তাঘাট আলোকিত করে পথচারীদের চলাচল সহজ করে তোলে।

তবে সম্প্রতি এসব লাইট চুরি, নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক এলাকায় অচল হয়ে পড়েছে। ফলে রাতে চলাচলরত সাধারণ মানুষ পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।

জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন পৌর এলাকার সড়ক, বাসস্ট্যান্ড, হাটবাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, বাজার ও ইউনিয়নের রাস্তার পাশে স্থাপন করা লাইটগুলো একে একে নিভে গেছে। অনেক স্থানে লাইটের সোলার প্যানেল ও ব্যাটারি চুরি হয়েছে। কোথাও কোথাও বাতিগুলো নষ্ট হয়ে মাসের পর মাস পড়ে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, “লাইট বসানোর সময় ভেবেছিলাম রাতে চলাচল নিরাপদ হবে। কিন্তু এখন অন্ধকারে চুরি-ছিনতাইয়ের ভয়ে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।”

ঢোলারহাটের দোকানদার নুর জামাল বলেন, “বাতিগুলো ছয় মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। কেউ দেখভাল না করায় অনেক জায়গায় খুঁটি ও সোলার লাইট চুরি হয়ে গেছে। পুনরায় চালু হলে জনগণ উপকৃত হবে।”

একাধিক পথচারী জানান, রাতের বেলায় অন্ধকার রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

চুরি যাওয়া সোলার প্যানেল প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা চুরি করছে, তারা সম্ভবত স্থানীয় লোকজনই। তাদের সুবিধার জন্যই তো এসব লাইট স্থাপন করা হয়েছে। তারা যদি সচেতন না হয়, তবে প্রশাসনের একার পক্ষে এটি রক্ষা করা সম্ভব নয়।

স্ট্রিট সোলার লাইটগুলো সচল করার উদ্যোগের কথা জানান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমরা নতুন করে এগুলো সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং যেগুলোর বাতি নষ্ট হয়েছে, সেগুলোতে নতুন করে লাইট লাগানো হবে।”

স্থানীয়দের মতে, এই সোলার লাইটগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরায় চালু করা গেলে গ্রামের মানুষ আবারও রাতে নিরাপদে চলাচলের সুবিধা পাবেন।

মারিয়া

×