ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

রাজেকুজ্জামান রতন

“মানুষ তখন ভাবে, মামলায় কিছু হবে না, যা করার নগদই করতে হবে”

প্রকাশিত: ০১:২২, ২৮ জুন ২০২৫; আপডেট: ০২:১৬, ২৮ জুন ২০২৫

“মানুষ তখন ভাবে, মামলায় কিছু হবে না, যা করার নগদই করতে হবে”

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর যদি একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতো—যাতে বলা হতো, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের আগে ন্যূনতম কিছু সংস্কার সম্পন্ন করা হবে—তাহলে সব রাজনৈতিক দলই একটি দায়িত্বের জায়গায় আসতো এবং জনগণের কাছেও তাদের কমিটমেন্ট পরিষ্কার হতো। তিনি বলেন, এই রোডম্যাপের অভাবেই বর্তমানে দেশে এক ধরনের দায়হীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ মানুষের বিপরীতে মাত্র ৩২ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে, যেখানে ভারতে এই সংখ্যা ১৩২-১৩৯ এবং ইউরোপে ২৩২ জন পর্যন্ত। এই ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা রক্ষার প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ। সামাজিক সংস্কৃতি যেমন অন্যায় কাজকে নিরুৎসাহিত করে, কিন্তু পুলিশের দুর্নীতিগ্রস্ত কাঠামো এবং রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের ফলে এই বাহিনী কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।

রতন বলেন, “যখন একটি দল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশকে প্রধান হাতিয়ার বানায়, তখন জনগণ ও পুলিশের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। এটি একটি রাজনৈতিক ব্যর্থতা।”

তিনি সমালোচনা করে বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না করে যদি শুধুই প্রতিপক্ষকে দমন করতে মামলা করা হয়, তাহলে তা জনগণের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। “মানুষ তখন ভাবে, মামলায় কিছু হবে না, যা করার নগদই করতে হবে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রশ্নবিদ্ধ। “যে নির্বাচন কমিশনাররা অতীতের নির্বাচনের ব্যর্থতার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে যদি জনরোষে পড়ে তারা জনতার হাতে লাঞ্ছিত হন, তা আমাদের বিচার ব্যবস্থার এবং প্রশাসনের ব্যর্থতা।”

এসময় রতন আহ্বান জানান, জনগণের ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়াকে একটি ন্যায়সংগত পথে পরিচালিত করতে। তিনি বলেন, “আইন আছে, সম্মানী মানুষদের আইনেই সোপর্দ করা উচিত। জনতার হাতে তুলে দেওয়া বা অপমান করার মধ্য দিয়ে একটি জাতির মর্যাদা রক্ষা হয় না।”
 

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×