
গত বছরের জুলাই–আগস্টে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী গণবিপ্লব (July Revolution), যা লক্ষাধিক মানুষকে রাস্তায় নামিয়েছে, এখন কি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে? সম্প্রতি এক টকশোতে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ-
সঞ্চালনা : কাজী জেসিন।
আলোচক : ড. মির্জা গালিব, সহকারী অধ্যাপক, হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র।
রেজাউল করিম রনি, সম্পাদক, জবান।
ডা. জাহেদ উর রহমান, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল জুনে কোটা সংস্কারের দাবিতে, শেষ পর্যন্ত সাম্প্রতিক গণকোটা (৩০ %) বাতিল করে পরবর্তী গণসংগ্রামে রূপ নেয়—কিছু দিন পর তা রূপ নেয় রক্তাক্ত “জুলাই গণহত্যা”—১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সরকারের পুলিশ-ছাত্রলীগ-রাষ্ট্রদলীয় হামলায় নিহত ছিল নারী, পুরুষ, শিশুসহ প্রায় ১,৪০০ জন (MOHFW ও OHCHR রিপোর্ট অনুযায়ী) ।
-
২০২৫ সালের মে’তে শাহবাগে গণসংহতি আন্দোলন হয়, যেখানে Awami League নিষিদ্ধের দাবি ওঠে—এই আন্দোলনেও হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
-
ইউএ বেক্তা: ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনিয়ায় ২৪ জুলাই কলকাতা সময় ট্রান্সপারেন্ট নিয়ে ছাত্ররা প্রতিবাদ করে। অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভে অংশ নেন ।
-
UNOHCHR রিপোর্ট ও OHCHR Fact-finding team এখনও তদন্ত করছে—এতে ২০২৪–২৪ সালের প্রোটেস্ট এখনও আলোচনার কেন্দ্র।
-
ঢাকার কেন্দ্রস্থলগুলোতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি যেমন কোটা টর্চার বা ব্লকেড নেই, তবে ২৪ জুলাই–এ শুরু হওয়া স্মরণশীল প্রতিবাদে হাজার কর্মী থাকে।
-
যদিও মূলত শহীদদের স্মরণে দেশব্যাপী বিক্ষোভ অনলাইনে বেশি সক্রিয়—সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ টিকা ব্যপক, তবে রাস্তায় জনসংযোগ আগের মতো নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন আন্দোলন একেবারেই নিভে গেছে না—এটি ‘মেমোরিয়াল মোডে প্রবেশ করেছে’। মাঠের সক্রিয়ত্ব কমলেও সমাজ-রাজনৈতিক স্মৃতি ও আন্তর্জাতিক নজর এখনও গা নাড়া পরিস্থিতি বজায় রেখে ।
Jahan