
ছবি: সংগৃহীত।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খাদ্যাভ্যাস ছিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত, ভারসাম্যপূর্ণ ও বিজ্ঞানসম্মত। তার অন্যতম প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল লাউ দিয়ে মাংস। শুধু ব্যক্তিগত পছন্দ নয়, বরং এই খাবারটির পেছনে রয়েছে গভীর পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যগত তাৎপর্য—যা আধুনিক বিজ্ঞানও সমর্থন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংস স্বাদে অনন্য হলেও অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা বিভিন্ন হৃদরোগসহ একাধিক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। কিন্তু মাংসের সাথে লাউ মিশিয়ে রান্না করলে সেই ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। লাউ খাবারকে শুধু সুস্বাদু করে না, বরং এটি খাবারকে আরো হজমযোগ্য এবং শরীরবান্ধব করে তোলে।
ইতিহাস বলছে, মহানবী (সা.) লাউকে ভালোবাসতেন এবং এটি ছিল তার খাদ্যাভ্যাসের নিয়মিত অংশ। সাহাবায়ে কেরামও তার এই পছন্দ সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং প্রায়শই তার জন্য লাউ পরিবেশন করতেন। ইসলামী ঐতিহাসিক বর্ণনাগুলোতে লাউ ও মাংসের সংমিশ্রণের স্বাস্থ্যগুণ ও রুচিসম্মততাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে।
পুষ্টিবিদদের মতে, লাউ একটি উচ্চমাত্রার পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার, যা হজম শক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। এ ছাড়া লাউ ক্যালোরি কম ও ফাইবার বেশি হওয়ায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি দেয়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
স্বাস্থ্যসচেতনতা ও ধর্মীয় চর্চার যুগলবন্দিতে মহানবী (সা.)-এর এই খাদ্যাভ্যাস আজও অনুসরণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে যারা সুন্নাহ মেনে চলতে চান এবং একইসঙ্গে স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতন, তাদের জন্য ‘লাউ দিয়ে মাংস’ হতে পারে একটি পরিপূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
মিরাজ খান