
ছবি: সংগৃহীত।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অনেকেরই। স্কলারশিপ, ভর্তি ফি, টিউশন ফি কিংবা ভিসা—এই হিসাব সবাই কমবেশি করেন। কিন্তু জানেন কি, বিদেশে পড়তে যাওয়ার পর এমন অনেক ‘গোপন খরচ’ সামনে আসে, যেগুলোর জন্য কেউই আগে থেকে প্রস্তুত থাকেন না? এই খরচগুলো না জানলে পড়তে হতে পারে কঠিন আর্থিক চাপে, এমনকি পড়াশোনার মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে!
চলুন জেনে নিই বিদেশে পড়াশোনার এমন ৮টি গোপন খরচ, যেগুলো নিয়ে খুব কমই কেউ সতর্ক করে।
১. হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও চিকিৎসা খরচ
অনেক দেশে হেলথ ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক, যার জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। এছাড়া জরুরি মেডিকেল খরচ বা ডেন্টাল চেকআপের মতো সেবা অনেক সময় বীমার আওতায় থাকে না।
২. ব্যাংক ও কার্ড ফি
আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং, মানি ট্রান্সফার, ATM ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত ফি কেটে নেওয়া হয়। স্থানীয় ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্যও নির্দিষ্ট চার্জ দিতে হয়।
৩. টিউশন ছাড়া ইউনিভার্সিটি ফি
লাইব্রেরি ফি, ল্যাব চার্জ, স্পোর্টস ফ্যাসিলিটি ফি ইত্যাদি ‘অতিরিক্ত ফি’ হিসেবে আলাদাভাবে দিতে হয়, যা অনেকেই ভর্তির আগে বোঝেন না।
৪. বাসস্থান সেটআপ খরচ
হোস্টেলে না থেকে বাইরে বাসা ভাড়া করলে ফার্নিচার, রান্নার সামগ্রী, বিছানাপত্র, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ইত্যাদির জন্য বড় অঙ্কের এককালীন খরচ পড়ে।
৫. রেসিডেন্সি রিনিউয়াল ও ভিসা এক্সটেনশন ফি
দীর্ঘমেয়াদে পড়াশোনা করলে ভিসা নবায়ন বা রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আলাদা ফি গুনতে হয়, যা দেশের ভেদে হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
৬. স্থানীয় পরিবহন খরচ
মাসিক বাস বা ট্রেন পাস, সিটি ট্রান্সপোর্ট কার্ড—সবই অতিরিক্ত খরচ। অনেক সময় রাত্রিকালীন যাতায়াতের জন্য আলাদা ভাড়া গুনতে হয়।
৭. পোশাক ও আবহাওয়াভিত্তিক জিনিসপত্র
ঠান্ডা দেশের জন্য শীতের ভারী জ্যাকেট, বুট, থার্মাল ইনর, রেইনকোট—এসব অতিরিক্ত কেনাকাটার তালিকায় পড়ে, যা দেশে থাকাকালীন কেউ ভাবেন না।
৮. পড়ালেখার বাইরের কোর্স বা সফট স্কিল ট্রেনিং
অনেক সময় চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় ভাষা কোর্স, সফট স্কিল ওয়ার্কশপ, কিংবা অনলাইন সনদ কোর্স, যেগুলোর পেছনে ব্যয় হয় আলাদা টাকা।
বিদেশে পড়াশোনা শুধু একাডেমিক নয়, বরং আর্থিক পরিকল্পনার একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ। টিউশন ফি ও অ্যাডমিশন খরচ হিসাব করলেই চলবে না—এই লুকানো খরচগুলোর জন্যও মানসিক ও অর্থনৈতিক প্রস্তুতি থাকা দরকার। নাহলে স্বপ্নের পথেই বাঁধা পড়তে পারে আপনার ক্যারিয়ার!
নুসরাত