
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে হামলা চালানোর পর ইসরাইলের ওপর পাল্টা জবাব এসেছে তীব্রভাবে, যার ফলে দেশটিতে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা। অনেকে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন, কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্য পেরিয়ে ইউরোপমুখী হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস হয়ে উঠেছে ইসরাইলিদের আশ্রয়স্থল।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইরানের হামলার পর সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ১২ হাজার ইসরাইলি। যুদ্ধবিরতির কারণে তাদের অনেকেই আবার নিজ দেশে ফিরে গেলেও, অনেকেই সাইপ্রাসে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাড়ছে আবাসন খাতে ইসরাইলিদের বিনিয়োগ। জমি কেনাবেচায় সেখানে এখন রীতিমতো হুলুস্থুল অবস্থা।
সাইপ্রাসবাসীদের মধ্যে এই প্রবণতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বামপন্থী রাজনৈতিক দল আকেল আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, সাইপ্রাস যেন ধীরে ধীরে নতুন একটি ইসরাইলে পরিণত না হয়। দলটির মহাসচিব বলেন,
“আমরা একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি। ইসরাইলিরা বিশাল পরিমাণ জমির মালিকানা নিচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরাই একদিন নিজের দেশে শরণার্থী হয়ে যাব।”
এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে আকেল সরকারকে জমি বিক্রি ও মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে দেশটিতে ইসরাইলিদের জন্য "গোল্ডেন ভিসা" প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি উঠেছে।
সাইপ্রাসের জনগণের মনে ফিলিস্তিনের করুণ পরিণতির ছায়া স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অনেকেই মনে করছেন, এখনই সতর্ক না হলে সাইপ্রাসও একদিন তার স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি হারাতে পারে। তাই জাতীয় স্বার্থে সরকারের ত্বরিত ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে উঠেছে।
ছামিয়া