
ছবি: সংগৃহীত।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েল। ২৬ জুন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাজ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা খামেনিকে নির্মূল করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু উপযুক্ত কোনো কার্যকরী সুযোগ ছিল না। এমনকি এতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতিরও প্রয়োজন হতো না।”
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হুমকি দিয়ে বলেন, “খামেনি কোথায় আছেন, আমরা জানি। তিনি একটি সহজ লক্ষ্য।”
এমন হুমকির পর ইরানে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে খামেনির নিরাপত্তা নিয়ে। তবে যুদ্ধবিরতির পর তিনি নিজেই সামনে এসে ইরানের বিজয়ের ঘোষণা দিলে অনেক গুঞ্জনের অবসান ঘটে। ধারণা করা হয়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর খামেনি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান এবং বাইরে যোগাযোগ সীমিত করেন।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—ইসরায়েলি বাহিনীর সরাসরি নিশানায় থেকেও কীভাবে নিরাপদ থাকলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা?
খামেনির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ‘ফালেইয়া আমার’ নামের এক বিশেষায়িত ইউনিট, যাদের সদস্যসংখ্যা প্রায় ১৫,০০০। ১৯৮৬ সালে গঠিত এই ইউনিটটি ইরানের আইআরজিসির (ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড) অধীনে পরিচালিত হয় এবং শুধুমাত্র সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে।
খামেনির অবস্থান, চলাচল ও যোগাযোগের ওপর কঠোর নজরদারি রাখে এই ইউনিট। ব্যবহৃত হয় স্যাটেলাইট ব্লাইন্ড জোন, জিপিএস জ্যামার, এনক্রিপ্টেড কমিউনিকেশনসহ আধুনিক প্রযুক্তি। জরুরি পরিস্থিতিতে এই ইউনিট খামেনির বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গোপন সরকার পরিচালনার প্রস্তুতিও রাখে।
এটাই প্রথম নয়—১৯৮১ সালে তেহরানের একটি মসজিদে বক্তব্য দিতে গিয়ে মাইক্রোফোনে লুকানো বোমার বিস্ফোরণে আহত হন খামেনি। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও তাঁর ডান হাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা তিনি এখনো ঢেকে রাখেন।
নুসরাত