
ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের রান্নাঘরে আজকাল অলিভ অয়েলের জায়গা পাকা। কিন্তু এই তরল সোনার গুণাগুণ সম্পর্কে কি আমরা সবাই জানি? টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অলিভ অয়েলের পাঁচটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা।
১. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
অলিভ অয়েলে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (MUFA) এবং পলিফেনলস রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় ৩০% পর্যন্ত কমাতে পারে। হার্ভার্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন তাদের করোনারি হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
২. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
অলিভ অয়েলে থাকা অলিওক্যান্থাল নামক যৌগ আলঝাইমার ও ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। জার্নাল অফ নিউরোলজির এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত অলিভ অয়েল খান তাদের স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি অন্যদের চেয়ে বেশি তীক্ষ্ণ থাকে।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
অলিভ অয়েল ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। স্প্যানিশ এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ডায়াবেটিক রোগী ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট (অলিভ অয়েল সমৃদ্ধ) অনুসরণ করেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে স্থিতিশীল থাকে।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা
অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অলিওরোপেইন নামক যৌগ ক্যান্সার সেল গঠনে বাধা দেয়। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এর ভূমিকা প্রমাণিত।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
অলিভ অয়েলের হেলদি ফ্যাট ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে এক চামচ অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
-
সালাদে স্প্রে করে
-
রান্নার শেষে যোগ করে
-
সকালে খালি পেটে এক চামচ
সতর্কতা: অতিরিক্ত তাপে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া, হার্ভার্ড হেলথ, জার্নাল অফ নিউরোলজি
সাব্বির